অপেক্ষা করতে হবে
অনেকেই মনে করতে পারেন যে, যদিও দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপির দুই শীর্ষনেতার কারাদণ্ড হয়েছে, কিন্তু তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক ফায়দা এ দলটির হতেই পারে। আমাদের দেশে সেই ব্রিটিশ আমল থেকে এটা প্রচলিত যে, জেল-জুলুমের শিকার রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয়তা বাড়ে। তারা জেল থেকে মুক্তিলাভের সময় সংবর্ধনা পান, ফুলের মালা পরানো হয়। এমনকি জামিনে মুক্ত হলেও তাদের বরণ করে নেওয়া হয়, যদিও মামলা তখনও বিচারাধীন। বেগম খালেদা জিয়া কবে কারাগার থেকে বের হয়ে আসবেন, সেটা এখনও অজানা। মুক্ত হলে তার সমর্থকরা কীভাবে তাকে স্বাগত জানান, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে।
এ মামলাটি আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত। তবে অর্থের পরিমাণ খুব বেশি নয়। বাংলাদেশে দুর্নীতি আছে এবং সেটা ওপেন সিক্রেট। সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি হয়। ব্যাংকের অর্থ ঋণ হিসেবে নিয়ে ফেরত দেওয়া হয় না। একাধিক সরকারি ব্যাংকে বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ আমরা দেখি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিয়ম-বহির্ভূতভাবে ঋণ দিয়ে তা আদায় করতে পারছে না। সম্প্রতি এক ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ প্রদানের খবর চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের ঋণের কারণে ব্যাংকের আর্থিক ভিত দুর্বল হয় এবং তার দায়ভার চাপানো হয় জনগণের ওপর- তাদের ট্যাক্সের অর্থ দিয়ে এ ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর সরকারের অভ্যন্তরে দুর্নীতির বিষয়ে সচেতনতা বাড়লে সেটাই হবে বড় পাওনা। একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা হওয়ায় এ ধারণা বদ্ধমূল হতেই পারে যে, এখন থেকে অন্যায় করলে কেউ পার পাবে না। তবে মামলাটির এখনও অনেক প্রক্রিয়া বাকি। তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন। প্রথমে জামিন নিয়ে ফের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারেন। উচ্চ আদালতে সাজা বহাল থাকতে পারে। দণ্ড কমতে বা বাড়তে পারে। খালাস পেতে পারেন। এ জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বিএনপিকে ধন্যবাদ যে, তারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখেছে। এটা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গুণগত নতুন সংযোজন। এটা অনুকরণীয় হবে, তেমন প্রত্যাশা করাই যায়। তবে বাস্তবে সেটা ঘটবে কি-না সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
রায়ের আগে ও পরে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ। তারা মনে রাখেনি যে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্ন আসলে নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক রয়েছে।
আরেকটি প্রশ্ন- এ রায়ের কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ কতটা প্রভাবিত হবে। নির্দি্বধায় বলা যায়, প্রভাব পড়বে। তেমনটি যেন না ঘটে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সরকারের দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞা। বিএনপি নির্বাচনে আসবে এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো বয়কটের পথে যাবে না, সেটাই আমার ধারণা। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি তাদেরও ভূমিকা রয়েছে। এ রায় প্রত্যাশিত ছিল। দুর্নীতির জন্য অবশ্যই শাস্তি হওয়া দরকার, তা সংশ্নিষ্ট ব্যক্তি যতই প্রভাবশালী হোক না কেন। তবে এখন আমাদের আরেকটি বিষয়ের জন্য অধীর অপেক্ষা- আর্থিক দুর্নীতির এ মামলায় আদালত কী পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, সেটা জানার।
লেখক- রাজনৈতিক বিশ্নেষক ও অধ্যাপক ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সু,সমকাল
- চরম দু:সংবাদ: দেশ জুড়ে নেমে এলো শোকের কালো ছায়া মারা গেলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক
- আইপিএল নিলামে ঝড় তুলে বিশাল পারিশ্রমিকে দল পেলেন নাহিদ রানা
- ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয়ের পথে বাংলাদেশ
- ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত চার দলের, বাদ পড়তে পারে ব্রাজিল, দেখেনিন আর্জেন্টিনার অবস্থান
- আইপিএল নিলামে দল পেল মুস্তাফিজের দুই সতীর্থ, দেখেনিন সাকিবের অবস্থান
- এইমাত্র শেষ হলো বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা, দেখেনিন সর্বশেষ ফলাফল
- IPL নিলাম ২০২৫: মুস্তাফিজ বাদ ধোনির চাওয়াতেই রেকর্ড মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন সাকিব
- ব্রেকিং নিউজ : IPL নিলাম: সাকিব মুস্তাফিজ নয় ইতিহাস গড়ে রেকর্ড বিডে যে দলে রিশাদ হোসেন
- ২০২৫ IPL নিলামে চমক দেখিয়ে রেকর্ড দামে দল পেলেন সাকিব
- 2025 IPL নিলাম: চেন্নাইয়ে সাকিব ও মুস্তাফিজ, কলকাতায় তাসকিন, দেখেনিন নাহিদ রানা যে দলে
- আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়ে ৪কোটি রুপিতে যে দলে মুস্তাফিজ
- মাত্র ৪৩ রানে অলআউট : বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ
- টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- ব্রেকিং নিউজ : যে কারণে বাংলাদেশের ৮ ক্রিকেটারকে নি*ষি*দ্ধ করল বিসিবি
- চরম উত্তেজনায় ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে শেষ হলো ম্যাচ