যে তিন ধারা অনুযায়ী সাজা ঘোষণা হবে
এসব ধারায় কী শাস্তি রয়েছে, তা জানতে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় খালেদা জিয়ার দুই আইনজীবী ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীর সঙ্গে। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসনে কাজল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা আদালতে তিনটি ধারার ওপর নথি উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এতে করে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা প্রমাণিত হলে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারেন।’
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদক এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট ছয় আসামির বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অভিযোগ এনেছে। এগুলো হলো—৪০৯, ১০৯, ও দুনীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ২-এর ৫(২)। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। ফলে আশা করেন, খালেদা জিয়াসহ মামলার অন্য আনামিরা খালাস পাবেন।
তবে এ আইনের ৪০৯ সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন এবং দুদক আইনে সাত বছরের কথা বলা হয়েছে বলেও জানান এই আইনজীবী।।
দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার পদমর্যাদাবলে অথবা ব্যাংকার, ব্যবসায়, ফ্যাক্টর, দালাল, অ্যাটর্নি বা প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবসায় সূত্রে কোনোভাবে কোনো সম্পত্তির জিম্মদার হয়ে বা উক্ত সম্পত্তির পরিচালনের ভারপ্রাপ্ত হয়ে সে সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে, তবে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থদণ্ডে ও দণ্ডনীয় হবেন।
১০৯ ধারা অনুযায়ী সাধারণত অপরাধ সংগঠনে সহায়তা করা হয়েছে। সহায়তার দরুন যদি সে অপরাধ অনুষ্ঠিত হয় এবং এ আইনে অনুরূপ সহায়তার দণ্ডদানের জন্য যদি কোনো স্পষ্ট বিধান না করা হয়ে থাকে, তবে অনুরূপ সহায়তাকারী যে অপরাধটি সংঘটনে সহায়তা করেছে, সে অপরাধের জন্য যে দণ্ডের বিধান করা হচ্ছে, অপরাধটি সংগঠনে সহায়তার জন্য তাঁকেও সে দণ্ডেই দণ্ডিত করা হবে।
এ ছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ ২ নম্বর আইনের ৫(২) ধারা অপরাধ হিসেবে আমলে নেওয়া হয়েছে। এ আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সাজা যদি এক বছরের বেশি হয়, তবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে। কিন্তু যদি সাজা এক বছরের নিচে হয়, তবে আদালত জামিন দিতে পারেন।
একনজরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা
রমনা থানায় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশিদ।এজাহারে টাকা আত্মসাতের (ঘটনার) সময়কাল হিসেবে ১৩ নভেম্বর ১৯৯৩ হতে ২৮ মার্চ ২০০৭ সালকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।মামলার কার্যদিবস ২৬১ দিন ।খালেদা জিয়া হাজিরা দেন ৪৩ দিন।খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন আট দিন।গত ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ রায়ের দিন ধার্য করেন বিশেষ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।রায়ের দিন ধার্য ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।সুত্র;এনটিভি
- IPL নিলাম : ২৬ নম্বর সেটে মুস্তাফিজ, ১ম সেটে রিশাভ পান্ত,দেখেনিন তাসকিন সাকিবের অবস্থান
- চরম দু:সংবাদ: দেশ জুড়ে নেমে এলো শোকের কালো ছায়া মারা গেলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক
- ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয়ের পথে বাংলাদেশ
- ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত চার দলের, বাদ পড়তে পারে ব্রাজিল, দেখেনিন আর্জেন্টিনার অবস্থান
- এইমাত্র শেষ হলো বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা, দেখেনিন সর্বশেষ ফলাফল
- আইপিএল নিলামে ঝড় তুলে বিশাল পারিশ্রমিকে দল পেলেন নাহিদ রানা
- IPL নিলাম ২০২৫: মুস্তাফিজ বাদ ধোনির চাওয়াতেই রেকর্ড মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন সাকিব
- ব্রেকিং নিউজ : IPL নিলাম: সাকিব মুস্তাফিজ নয় ইতিহাস গড়ে রেকর্ড বিডে যে দলে রিশাদ হোসেন
- 2025 IPL নিলাম: চেন্নাইয়ে সাকিব ও মুস্তাফিজ, কলকাতায় তাসকিন, দেখেনিন নাহিদ রানা যে দলে
- ২০২৫ IPL নিলামে চমক দেখিয়ে রেকর্ড দামে দল পেলেন সাকিব
- মাত্র ৪৩ রানে অলআউট : বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ
- টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- ব্রেকিং নিউজ : যে কারণে বাংলাদেশের ৮ ক্রিকেটারকে নি*ষি*দ্ধ করল বিসিবি
- আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়ে ৪কোটি রুপিতে যে দলে মুস্তাফিজ
- চরম উত্তেজনায় ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে শেষ হলো ম্যাচ