২১ ফেব্রম্নয়ারি পুরো শহর ছিল প্রতিবাদমুখর। বিকেলে রহমতউলস্নাহ ক্লাবে আয়োজিত সমাবেশে খবর আসে ঢাকার মিছিলে গুলিবর্ষণের। ২২ ফেব্রম্নয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত্ম টানা বিক্ষোভ চলে শিল্পনগরীতে। যেখানে ছাত্রদের সঙ্গে উলেস্নখযোগ্য মহিলা ও শ্রমিকের অংশগ্রহণ ছিল। ১১৪ জন গ্রেপ্তার হয়

ময়মনসিংহেও ভাষা আন্দোলনের ব্যাপকতা লাভ করে। ঢাকায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর উর্দু ভাষার পক্ষের বক্তব্যের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রফিকউদ্দিন ভুইয়া, শামসুল হকসহ কয়েকজন ছাত্রনেতা। তারাই ময়মনসিংহে গিয়ে আন্দোলন বেগবান করেন। ২৫ মার্চ বিপিন পার্কে রফিকউদ্দিন ভুইয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে মিছিল বের হলে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং কাঁদানে

গ্যাস ছোড়ে। এতে আহত হন শামসুল হক, মনোরঞ্জন ধর, মোজাম্মেল হকসহ অনেকে। ২১ ফেব্রম্নয়ারির পর ময়মনসিংহ শহর থেকে থানা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন।ঢাকা কিংবা নারায়ণগঞ্জের মতো সিলেটেও ১৯৪৮ সালের আগেই রাষ্ট্রভাষা নিয়ে বিতর্কের দানা বাধে। এ বছর ১১ মার্চ আন্দোলন বন্ধ করার জন্য দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আন্দোলন আরও জোরদার হয়ে ওঠে।

বগুড়া জেলার ভাষা আন্দোলন উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার মতো ব্যাপক ও গুরম্নত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ছাত্র জনতার মিছিল বগুড়া কলেজ থেকে শহরের দিকে যাওয়ার সময় দেখা হয় ড. শহীদুলস্নাহর সঙ্গে। ছাত্রদের অনুরোধে তিনি মিছিলের নেতৃত্ব দেন। ২৯ নভেম্বর পাকিস্ত্মানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান বগুড়া সফরে গেলে সেখানে প্রচ- বিক্ষোভ হয়। পাবনায় রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ওই বছরের ২৯ ফেব্রম্নয়ারি হরতাল পালিত হয়। ওই দিন মিছিল থেকে কয়েক শ' আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

যশোরে ভাষা আন্দোলন শুরম্ন থেকেই জঙ্গি রূপ ধারণ করে। কুমিলস্না ছিল অনেকটা যশোরের মতো প্রতিবাদমুখর। ১৯৫২ সালের ৪ ফেব্রম্নয়ারি সারা দেশের মতো কুমিলস্নায়ও ধর্মঘট পালিত হয়। ২১ ফেব্রম্নয়ারি হরতাল ডাকা হয় কুমিলস্নায়। একই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, দিনাজপুর, বরিশাল প্রভৃতি অঞ্চলে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।

সুত্র;যায়যায়দিন