ধাওয়ার ওপর রাখবে পুলিশ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলা ঘিরে ৮ ফেব্রম্নয়ারির উত্তেজনার রাজপথ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্দোলনকারীদের ধাওয়ার উপর রাখবে পুলিশ। সে লক্ষ্যে আগেভাগেই সারাদেশের নিরাপত্তা ছক ঢেলে সাজানো হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজধানী ঢাকা এবং এর উপকণ্ঠ এলাকাগুলো সর্বোচ্চ গুরম্নত্ব পেয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ৮ ফেব্রম্নয়ারি দিনভর ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখার নির্দেশ দেয়া হলেও এর সঙ্গে সর্বোচ্চ সহনশীল থাকার শর্তও জুড়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশকে সব ধরনের উসকানির ফাঁদ এড়িয়ে চলতে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে কেউ সংঘবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করার আগেই তা যাতে শক্ত হাতে প্রতিহত করা যায় তার প্রস্তুতিও রাখা হচ্ছে।
এদিকে ৮ ফেব্রম্নয়ারি ভোর ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত্ম ঢাকায় মিছিল, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। মহানগর পুলিশের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উলেস্নখিত সময়ে নগরীতে সব ধরনের ছড়ি বা লাঠি, ছুরি, চাকু বা ধারালো অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ বহন নিষিদ্ধ থাকবে। যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং দাঁড়িয়ে-বসে কোনো ধরনের মিছিল করা যাবে না।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি পদমর্যদার একজন কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনী বছরের শুরম্নতে রাজপথ উত্তপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ দিতে চায় না সরকার। কেন না এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দীর্ঘ সময় চাপে থাকতে হবে। এ ছাড়া এ সময়ে বিরোধী দলগুলো রাজপথে সহিংসতা ছড়াতে পারলে যেমন লাভবান হবে, তেমনি পুলিশের হাতে মার খেলেও তারা এ ইসু্যতে ভিন্ন ফায়দা লুটবে। এ সব বিষয় বিবেচনায় রেখেই খালেদা জিয়ার রায় ঘিরে টানটান উত্তেজনায় পুলিশকে সহনশীল থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার না করে তাদের ধাওয়ার উপর রেখে তাদের ঢাকায় বড় জমায়েত করার পরিকল্পনা প- করার ছক তৈরি করা হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি, এডিসি, এসি ও ওসিসহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের ধাওয়ার ছক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা জানান, বিগত সময় রাজনৈতিক উত্তপ্ততার শংকায় রাজপথে যে ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হতো, তার সঙ্গে এবারের নিরাপত্তা ছকে বিশাল ফারাক রয়েছে। বিগত সময় আন্দোলনের কেন্দ্রস্থলে নেতাকর্মীদের জড়ো হতে বাধা সৃষ্টি করা হলেও এবার সে বেষ্টনী তৈরি করা হবে পাড়া-মহলস্নার অলিতে-গলিতে। এতে আন্দোলনকারী নেতাকর্মীরা ঘর থেকে বের হতেই ধাওয়ার মুখে পড়বে। ছত্রভঙ্গ কর্মীরা যাতে পরে অন্য কোথাও জড়ো হতে না পারে সে জন্যও পুলিশ বেশকিছু কৌশল হাতে নিয়েছে।
জানা গেছে, নিরাপত্তা ছকে ঢাকা মহানগরীর ৮টি জোন ৬৪ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ৮ ফেব্রম্নয়ারি ভোর থেকে প্রতিটি বিভক্ত এলাকায় নির্দিষ্ট সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা সার্বক্ষণিক তৎপরতা চালাবে। নূ্যনতম এসি (সহকারী পুলিশ কমিশনার) পর্যায়ের কর্মকর্তা এর মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন। কোথাও বড় ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির শঙ্কা থাকলে তা গোয়েন্দারা আগেভাগেই তাকে অবহিত করবেন। পাশাপাশি তারা পুলিশ কন্ট্রোল রম্নমে এ তথ্য জানিয়ে দিবেন। এর পরপরই দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে পুলিশ লাইনে স্ট্যান্ডবাই থাকা দাঙ্গা ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে।
এদিকে ৭ ফেব্রম্নয়ারি ভোর থেকেই রাজধানীর প্রতিটি বাস-লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি তলস্নাশিচৌকি বাড়ানো হচ্ছে। সন্দেহভাজন সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে। কারো কথাবার্তা ও আচরণে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী মনে হলে তাকে ফেরত পাঠাবে পুলিশ। ৮ ফেব্রম্নয়ারি এ ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি থাকবে।
অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিকদের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের বহিরাগত নেতাকর্মীরা যাতে ঢাকায় ঢুকে আন্দোলনে যোগ দিতে না পারে এ জন্য এরই মধ্যে দূরপালস্নার পরিবহন চলাচল কৌশলে কমিয়ে আনা হয়েছে। ৭ ও ৮ ফেব্রম্নয়ারি এ ধারা আরো সংকুচিত করা হবে। এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের পরিবহন শ্রমিক নেতারা যথেষ্ট সোচ্চার রয়েছে।
ডিএমপির উত্তর জোনের সহকারী কমিশনার পদমর্যদার একজন কর্মকর্তা যায়যায়দিনকে বলেন, ধরপাকড়ের ভয় দেখিয়ে পুলিশ বিএনপি-জামায়াতের সর্বস্ত্মরের নেতাকর্মীকে বেশ ক'দিন আগে থেকেই ধাওয়ার উপর রেখেছে। বড় ও মধ্যসারির নেতারা আগেই গাঢাকা দিয়েছেন। ঢাকার কোনো এলাকায় এখন পাতি নেতারাও নেই। কেউ ঢাকা ছেড়ে আশপাশের জেলা শহরে, কেউ বা প্রত্যন্ত্ম অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে তারা যাতে সেখানেও সংঘবদ্ধ হয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে পুলিশ সেদিকেও তৎপর রয়েছে।
পুলিশ ওই কর্মকর্তা জানান, বিএনপি-জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মী এবং বহিরাগত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে তারা ক্ষমতাসীন দলের সহায়তা নিচ্ছেন। তারা তাদের ব্যাপারে পুলিশকে তথ্য দিচ্ছেন। এতে আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীদের ধাওয়ার মুখে রাখা তাদের জন্য সহজ হয়েছে।
এদিকে বিএনপি-জামায়াতের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে পুলিশের ধাওয়া অভিযান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখান এলাকার ওয়ার্ড পর্যায়ের এক বিএনপি নেতা জানান, ২৫ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণের পর তিনি বাড়ি ছেড়ে টঙ্গীতে এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। তবে দু'দিন না যেতেই সেখানে ধরপাকড় অভিযান শুরম্ন হলে তিনি দ্রম্নত সে এলাকা ছেড়েছেন। ক'দিন ধরে তিনি পথে পথেই দিন কাটাচ্ছেন। যদিও তাতেও শেষরক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নেতা বলেন, 'পুলিশের ধাওয়ায় আগেই তো কোথাও দাঁড়াতে পারছি না। ওইদিন (৮ ফেব্রম্নয়ারি) আন্দোলনে নামবো কিভাবে। দলের ছোটখাটো নেতাদের এ অবস্থা হলে বড় নেতারা কেমন আছে বোঝেন।'
অনেকটা একই সুরে জামায়াতের মধ্য সারির এক নেতা জানান, ঢাকার নিজ বাসা ছেড়ে প্রথম ক'দিন আশপাশের এলাকায় আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের ঘরে-হোস্টেলে দিন কাটিয়েছেন। তবে ধরপাকড় অভিযান জোরদার হওয়ার পর তারা কেউ আর ঝুঁকি নিতে রাজি হচ্ছেন না। এ অবস্থায় তিনি ঢাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে আছেন। ৮ ফেব্রম্নয়ারি তার মাঠে নামার কোনো সুযোগ নেই দাবি করে জামায়াত ওই নেতা বলেন, 'যেখানে আছি, সেখানকার কেউ আমার পরিচত না। সেখানকার স্থানীয় নেতারাও এলাকা ছাড়া। তাই ওইদিন সংঘবদ্ধ হয়ে রাস্ত্মায় নামব কিভাবে?'
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটি এসবি'র (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) একজন মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা যায়যায়দিনকে বলেন, ৮ ফেব্রম্নয়ারি ঘিরে সবাই আতঙ্কে থাকলেও পুলিশ অনেকটা নিরম্নদ্বেগেই রয়েছে। তারা তাদের প্রাথমিক কাজ ভালোভাবেই গুটিয়ে এনেছে। তাই এখন শুধু রায়ের দিন ধাওয়ার ছক কাজে লাগানোর অপেক্ষা করছেন।ওই কর্মকর্তার দাবি, মাঠের যে তথ্য তাদের কাছে রয়েছে, তাতে নেতারা দূরে থাক, কর্মীরাও বেশ ক'দিন ধরে ধাওয়ার মুখে। তাই ৮ ফেব্রম্নয়ারি বড় ধরণের জমায়েত করা বিএনপির পক্ষে অনেকটাই দুঃস্কর।এদিকে দাঙ্গা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৮ ফেব্রম্নয়ারি বিএনপির আন্দোলনে অ্যাকশনে না গিয়ে তাদেরকে ধাওয়ার ছকে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলেও রণাঙ্গনের কোনো প্রস্তুতিতে কমতি থাকছে না। রায়টকার ও জলকামানসহ সব ধরণের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারম্নদ ও টিয়ারসেল প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা হবে। এমনকি বড় ধরনের কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে পুলিশ রাবার বুলেট চালাতেও পিছপা হবে না। তবে এ ব্যাপারে কেউ যাতে অতি উৎসাহী হয়ে না ওঠে এ ব্যাপারে সবাইকে আগেভাগেই সতর্ক করা হয়েছে।ডিএমপি সূত্র জানায়, ৮ ফেব্রম্নয়ারি ভোর থেকে মহানগর এলাকায় ৮ হাজার ফোর্স নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। তাদের পাশাপাশি সোয়াত, বোম ডিস্পোজাল টিম মাঠে সক্রিয় থাকবে। পুরান ঢাকার বকসিবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসায় স্থপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালত ঘিরে তিন স্ত্মরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হবে। বিচারকার্য সংশিস্নষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়া অন্য কারো আদালতে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ থাকবে।পুলিশের প্রস্ত্মুতি: পুলিশ মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের ৮ ফেব্রম্নয়ারির পরিস্থিতি নিয়ে নির্দেশনা দেন।র্ যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন, 'জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ 'সব কিছুই' করবে। ৮ ফেব্রম্নয়ারি রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নাশকতা রোধে পুলিশের সব ইউনিটকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।'পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেলী ফেরদৌস বলেন, বিশেষ স্থাপনা ছাড়াও পুলিশের সব ধরনের চেকপোস্টে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যানবাহনে নিয়মিত যে তলস্নাশি করা হয়, রায় ঘিরে তা বাড়ানো হচ্ছে। সার্বিক বিষয়গুলো নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।টার্মিনাল পাহারায় পরিবহন মালিক-শ্রমিক : ?বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে রাজপথে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তা শক্ত হাতে দমনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। মঙ্গলবার দুপুরে সড়ক ভবনে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির উদ্যোগে মালিক সমিতির এক যৌথ সভা থেকে ঘোষণা দেয়া হয়।ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুলস্নাহ বলেন, ৮ তারিখ খালেদা জিয়ার রায় উপলক্ষে বিশৃঙ্খলা হলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। ওইদিন চারটি টার্মিনালে ১৫ হাজার মালিক-শ্রমিক লাঠি হাতে অবস্থান নেবে। তিনি বলেন, ৭ তারিখ রাত থেকেই ১১ তারিখ পর্যন্ত্ম টার্মিনাল পাহারা দেয়া হবে। যদি ওইদিনের রায় উপলক্ষে বিএনপি হরতাল ডাকে তাহলে তারা যে কোনো মূল্যে গাড়ি চালাবে।দেশজুড়ে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ধরপাকড় : ৮ ফেব্রম্নয়ারিকে সামনে রেখে দেশজুড়ে বিরাজ করছে উদ্বেগ-আতঙ্ক ও উত্তেজনা। চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযান। রাস্ত্মা-ঘাটে বেড়েছে তলস্নাশি। গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বেশ ক'জন সিনিয়র নেতাও গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। সোমবার রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি। বিএনপির দাবি, সবচেয়ে বেশি নেতাকর্মী ধরপাকড়ের শিকার হয়েছেন মফস্বলে। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়ার সিলেট গমন উপলক্ষে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের আশপাশ শহর ও গ্রামাঞ্চলে রোববার রাত থেকে ব্যাপক গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তার হওয়াদের তালিকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার ও আমান উলস্নাহ আমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলালসহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন ও আনিসুর রহমান খোকন রয়েছেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউলস্নাহ মিয়াকে পুলিশ আটক করলেও পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।বিএনপি কার্যালয়ের সামনের্ যাব-পুলিশ মোতায়েন: পল্টনস্থ বিএনপি অফিসের সামনে হঠাৎ করে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ওর্ যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাদের মোতায়েন করা হয়। ৮ ফেব্রম্নয়ারির রায়কে কেন্দ্র করে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুত্র;যায়যায়দিন
- IPL নিলাম : ২৬ নম্বর সেটে মুস্তাফিজ, ১ম সেটে রিশাভ পান্ত,দেখেনিন তাসকিন সাকিবের অবস্থান
- চরম দু:সংবাদ: দেশ জুড়ে নেমে এলো শোকের কালো ছায়া মারা গেলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক
- ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয়ের পথে বাংলাদেশ
- ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত চার দলের, বাদ পড়তে পারে ব্রাজিল, দেখেনিন আর্জেন্টিনার অবস্থান
- এইমাত্র শেষ হলো বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা, দেখেনিন সর্বশেষ ফলাফল
- IPL নিলাম ২০২৫: মুস্তাফিজ বাদ ধোনির চাওয়াতেই রেকর্ড মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন সাকিব
- ব্রেকিং নিউজ : IPL নিলাম: সাকিব মুস্তাফিজ নয় ইতিহাস গড়ে রেকর্ড বিডে যে দলে রিশাদ হোসেন
- 2025 IPL নিলাম: চেন্নাইয়ে সাকিব ও মুস্তাফিজ, কলকাতায় তাসকিন, দেখেনিন নাহিদ রানা যে দলে
- ২০২৫ IPL নিলামে চমক দেখিয়ে রেকর্ড দামে দল পেলেন সাকিব
- আইপিএল নিলামে ঝড় তুলে বিশাল পারিশ্রমিকে দল পেলেন নাহিদ রানা
- মাত্র ৪৩ রানে অলআউট : বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ
- টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- ব্রেকিং নিউজ : যে কারণে বাংলাদেশের ৮ ক্রিকেটারকে নি*ষি*দ্ধ করল বিসিবি
- চরম উত্তেজনায় ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে শেষ হলো ম্যাচ
- টেস্ট ক্রিকেটে লজ্জার রেকর্ড : মাত্র ৪২ রানে অল-আউট