এই ঘটনার ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

বরিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে এসে মামলার বাদী ধর্ষিতার মা বলেন, তারা হতদরিদ্র। এ কারণে সরকারি ক্যানালের ধারে ঘর তুলে বেড়ার ঘরে বসবাস করেন। কিন্তু রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ধর্ষক মিল্টন, মিন্টু, সেলিম ও রাজন ঘরে প্রবেশ করে আমাদের মেয়েকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ধর্ষকরা পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আমার মেয়েকে বাড়িতে রেখে যায়। এ বিষয়টি প্রথমে তিনি ওই এলাকার স্থানীয় মেম্বার ওলিয়ার রহমানকে জানান। এরপর হরিণাকুণ্ডু থানায় ব্যাপারটি জানায়।

ধর্ষিতা ওই স্কুলছাত্রী জানায়, প্রথমে মিল্টন, দ্বিতীয় বার মিন্টু ও তৃতীয় দফায় সেলিম তাকে পাশবিক নির্যাতন করে। শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায় ওই স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজন ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এ মামলায় মিল্টন ও মিন্টুকে বাদ দেয়া হয়েছে। মেয়েটি জানায়, চাপের মুখে ধর্ষিতা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দুই জনের নাম বলতে বাধ্য হয়েছেন।

এ ব্যাপারে থানার ওসি জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি ভুয়া মনে হলেও আমরা নারী নির্যাতন হিসেবে মামলা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হরিণাকুন্ডু থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, বাদী দু’জনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দিয়েছে। আদালতেও ওই দু’জনের বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ওই ভিকটিম।