প্রবাসীর স্ত্রী আহত পুত্রবধূ জানান, ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক তিনটার সময় আমি ও আমার পাঁচ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে আমার ঘরে শুয়ে ছিলাম। ঘরের দরজা খোলা পেয়ে লম্পট শ্বশুর আমার ঘরে ঢুকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। জড়াজড়ির এক পর্যায়ে আমি তাকে ঘরে থাকা নিড়ানি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করি। সে আমার কাছ থেকে নিড়ানি কেড়ে নেয়। পরে ঘরে থাকা একটি লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়।

এক পর্যায়ে আমি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি। তাকে আমার ঘরে তালা দিয়ে ফেলি। এসময় হৈ চৈ শুরু হলে আমার ভাসুর জিয়ারুল ইসলাম এসে আমাকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য চাপ দেয়। এক সময় আমার ঘরের জানালা ভেঙে লম্পট শ্বশুরকে বের করে দেয়। আমি ভাসুরসহ তাদের লোকজনের কাছ থেকে বিচার চেয়ে আসছি। তারা অনুরোধ করেছিলো যেন আমি বাইরের কাউকে না জানায়। তবে আমি তাদের বলেছিলাম এক বাড়িতে আমি ও আমার লম্পট শ্বশুর থাকতে পারবো না।

তারপরেও আজ (১৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে আমার ফুফু শ্বাশুড়ি ফরিদা খাতুন ও মার্জিনা খাতুন আমার বাড়িতে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে আমি তাদের প্রতিবাদ করলে দুজনে মিলে আমাকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি ও কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে মারা গেছি ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, খবির উদ্দীনের বিরুদ্ধে তার আরেক পুত্রবধূসহ গ্রামের কয়েকজনের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার অভিযোগ রয়েছে। গ্রাম্য শালিস বৈঠকে একাধিকবার জরিমানা করেছে শালিসকারীরা।

বর্তমানে লম্পট খবির উদ্দীন পলাতক রয়েছে।