গত সপ্তাহে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে এই সেতু হবে না। কোনো একটা যদি জোড়াতালি বানায়, সেই সেতুতে কেউ উঠতে যাবেন না, অনেক রিস্ক আছে।”

তার ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আওয়ামী লীগ শুধু টাকা পয়সা চুরিই করেনি। পদ্মা সেতুর মতো অনেক ভাল কাজও তারা করছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলেও পদ্মা সেতু ভাঙবে না। তবে ওই সেতুর তিন ভাগের দুই ভাগ টাকা আওয়ামী লীগ পকেটে তুলেছে “বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ পাওয়া কাদের সিদ্দিকী দুই দশক আগে আওয়ামী লীগ ছেড়ে কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগ গঠন করেন। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার অবস্থান আওয়ামী লীগের বিরোধী শিবিরে।

আওয়ামী লীগের রাজনীতি মানুষ খুশি না মন্তব্য করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বলেন, আসছে সংসদ নির্বাচনে যদি সঠিক ভোট হয়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারবে না। আর যদি ভোট না হয় তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। আর এতেই আওয়ামী লীগের পতন হবে।“

এ নির্বাচনে বিএনপি জিতলে ওই রাতেই কয়েক লাখ মানুষ খুন হবে বলে দাবি করেন তিনি।

সভায় তথ্যমন্ত্রীর হাসানুল হক ইনুর সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “যে ইনুর গণবাহিনী হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। সেই ইনু আজ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী, তারাই আজ দেশ চালায়।”

সমাবেশে কেন্দ্রীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সখীপুর শাখার সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মীর জুলফিকার শামীম, কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের আহবায়ক হাবিবুন নবী সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।