| ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জেনে নিন স্বাধীনতার পর দেশে কত জনের ফাঁসি হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৭ ডিসেম্বর ২৮ ১৮:১২:৫৯
জেনে নিন স্বাধীনতার পর দেশে কত জনের ফাঁসি হয়েছে

এ বছর দেশে ফাঁসির মঞ্চে উঠেছে জঙ্গিসহ ৬ অপরাধী। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গত ৪৭ বছরে নানা অপরাধে এ পর্যন্ত ৪৪৮ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

আদালত ও কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, হত্যা, ধর্ষণের পর খুন, মানবতাবিরোধী অপরাধ, রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। নিম্ন আদালতের পর হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগেও এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে বা ধারাবাহিকভাবে ওই সর্বোচ্চ দণ্ড অব্যাহত থাকলে অপরাধী ফাঁসির মুখোমুখি হয়। এরপর অপরাধীর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করে দিলে আসামি ফাঁসি কার্যকরের হাত থেকে পার পেয়ে যান। অপর দিকে আপিল করা না হলে বা মামলার আপিলে একই দণ্ড বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া না হলে সরকার ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নিতে পারে। সরকার কারো ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ গ্রহণের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কারা অধিদপ্তরে চিঠি প্রেরণ করলে পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট কারাকর্তৃপক্ষ ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে। চলতি বছর দেশের তিন কারাগারে ৩ জঙ্গিসহ ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

কারাসূত্রগুলো জানায়, চলতি বছর প্রথম ফাঁসি কার্যকর হয়েছে তিন জঙ্গির। গত ১২ই এপ্রিল রাতে তাদেরকে দু’কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে রশিতে ঝুলানো হয়। এর মধ্যে একজন হলো, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি) ও হরকাতুল মোজাহেদীনের অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ওরফে আবুল কালাম। রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার চিঠি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছার পর ১২ই এপ্রিল রাতে তার ফাঁসি কার্যকর হয়। ওই রাতে একই কারাগারে ফাঁসির রশিতে ঝোলানো হয় ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও মুফতি হান্নানের সহযোগী শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুলকে। একই রাতে একই জঙ্গি সংগঠনের অপর সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর হয় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে। ২০০৪ সালের ২১শে মে তৎকালীন নবনিযুক্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে গ্রেনেড হামলায় ৩ জন নিহত ও ৭০ জন আহতের ঘটনা ও মামলায় তাদের ওই পরিণতি বরণ করতে হয়। শুধু ওই নাশকতাই নয়, নৃশংস হত্যাকাণ্ডও হয়। মুফতি হান্নানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় সারা দেশে সাত বছরে অন্তত ১৩টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছিল। যাতে মন্ত্রীসহ ১০১ ব্যক্তি নিহত ও ৬০৯ জন আহত হন।

এর কয়েকমাস পর চলতি বছরের ১৬ই নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার দুর্লভপুরের আকছেদ সরকারের ছেলে ঝরু ও মুরাদ আলীর ছেলে মকিমের। এ বছর গত ২৯শে নভেম্বর সর্বশেষ ফাঁসি কার্যকর হয় গোপালগঞ্জের মোকছেদপুরের ডাংগাদুর্গাপুর এলাকার ছিদ্দিক মোল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম শহীদের। গুলশান থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা এক মামলায় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।

এর আগে ২০০৪ সালের ৩০শে মার্চ একই দিন চার কারাগারে জামা’আতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও ছিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইসহ ৬ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল। তারা বহু জঙ্গি হামলা ও হত্যার হোতা। হান্নানের মতো আব্দুর রহমানও আফগান ফেরত জঙ্গি ছিল। এর আগে ফাঁসির রশিতে ঝুলেছে বহু রাজনীতিবিদ, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ গুরুতর অপরাধী। এরশাদ সিকদারসহ বহু ফাঁসি বিভিন্ন সময় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। নানা অপরাধে ১৯৭১ সাল থেকে গত ৪৭ বছরে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ফাঁসির রশিতে ঝুলেছে ৪৪৮ জন। অবশ্য স্বাধীনতার প্রথম ৫ বছর কারো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি। ১৯৭৬ সালে ৩ ও ১৯৭৭ সালে ২৪৭ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল।

এ পর্যন্ত তাই এক বছরে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রেকর্ড। তবে প্রথম ৫ বছরসহ ১৯৮৪, ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৮ থেকে ২০০০ এবং ২০১৪ সালসহ মোট ১৪ বছরে কোন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি। এ ছাড়া প্রতিবছরই কোন না কোন অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে ১৯৮৬ সালে। ওই বছর ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। ১৯৮০, ১৯৮১, ১৯৮৫ ও ২০০৪ সালে ১৩ জন করে মোট ৫২ জনের ফাঁসি হয়। গত এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফাঁসি কার্যকর হয়েছে গত বছর। ১০ জনের।

কারা উপমহাপরিদর্শক (সদরদপ্তর) বজলুর রশিদ বলেন, আপিল বিভাগের রায় শেষে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা নামঞ্জুর হলে সরকারের পক্ষ থেকে আসামির ফাঁসি কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়। কারো ফাঁসি কার্যকরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়া গেলে কারা অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কারাবিধি মেনে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফাঁসির মঞ্চে রশিতে ঝুলিয়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। প্রায় প্রতি বছর কোনো না কোনো কারাগারে এক বা একাধিক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়ে আসছে। সূত্র:- মানবজমিন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

দল হারলেও বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পর যত রান করলেন সাকিব

দল হারলেও বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পর যত রান করলেন সাকিব

দীর্ঘ দুই মাস পর আবুধাবি টি-টেন লিগ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলা টাইগার্সের ...

চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা, দেখেনিন ফলাফল

চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা, দেখেনিন ফলাফল

অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা ছিল পুরোপুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিয়ন্ত্রণে। প্রথম দিন ...

ফুটবল

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক ফুটবল সূচির প্রায় শেষ প্রান্তে এসে নিজেদের বছরের শেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ ...

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে আরও যত পয়েন্ট দরকার আর্জেন্টিনার

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে আরও যত পয়েন্ট দরকার আর্জেন্টিনার

লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে ২৫ ...



রে