গত নভেম্বরে ‘মাস্ক’ নামের একটি ছবির শুটিংয়ে থাইল্যান্ডে যাওয়ার পর আবার শাকিব ইস্যু সামনে আসে। এবার গুঞ্জন ‘অপুকে তালাক দিবেন শাকিব।’ কিন্তু শাকিব দেশে ফেরার দিনেই ছেলে জয়কে ঘরে তালাবদ্ধ রেখে চিকিৎসা নিতে ভারতে যান অপু। এই যাত্রায় তালাকের বিষয়টা চাপা পরে। এর কিছুদিন পর ‘নোলক’ ছবির শুটিংয়ে শাকিব যখন ভারতের হায়দ্রাবাদে গেলেন তারপরেই গত ২৮ নভেম্বর তার আইনজীবী জানান ‘অপুর বাসায় তালাকা নামার পাঠিয়েছেন শাকিব।’

বিষয়টি নিয়ে যখন আবার মিডিয়াপাড়া গরম, তখন হবিগঞ্জের এক অটোরিক্সা চালকের মামলার নোটিশের জাবাব দিতে ডাকা হয় শাকিব অভিনীত ‘রাজনীতি’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালকে। চতুর্মুখী এত চাপ নিয়ে কী ভাবছেন শাকিব খান? ভারতের হায়দ্রাবাদ থেকে তিনি এ বিষয়ে বলেন, মামলা নিয়ে আমি কিছুই ভাবছি না। পরিচালক প্রযোজক আছেন, ওনারাই বিষয়টা দেখবেন। তবে আমি আইনের প্রতি শতভাগ শ্রদ্ধাশীল। যদি কিছু করণীয় থাকে অবশ্যই আইনজীবীর মাধ্যমে করব। তিনি বলেন, ২১ ডিসেম্বর দেশে ফিরব। তারপর কিছুদিন বিরতি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাব নতুন ছবির শুটিংয়ে। আমার সব মনোযোগ এখন সিনেমাকেন্দ্রিক।’

এদিকে গত রোববার রাতে পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও প্রযোজক আশফাক আহমেদ হবিগঞ্জের পুলিশের কার্যালয়ে হাজির হন। এ সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারাও মামলার বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কেও নিজেদের বক্তব্যে তারা স্বীকার করেছেন বলেও একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানিয়েছে।

জানা যায়, প্রায় ২ ঘণ্টা ১৬ মিনিট রাজনীতি চলচ্চিত্রের ২৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডের সময় চলচ্চিত্রের নায়িকা অপু বিশ্বাস একটি ডায়লগ দেন ‘এভাবে বার বার আর কোনোদিন চলে যেত দেব না আমার স্বপ্নের রাজকুমার’, জবাবে নায়ক শাকিব খান ডায়লগ দেন ‘আমিও তোমাকে আর ছেড়ে যাব না আমার রাজ কুমারী’। নায়িকা অপু বিশ্বাসের ডায়লগ ‘আমার ফেসবুক আইডি যে “রাজকুমারী” তুমি তা জানলে কী করে?’ জবাবে নায়ক শাকিব খান ডায়লগ দেন ‘যেভাবে তুমি জানো আমার মোবাইল নম্বর ০১৭১৫-’। প্রকৃতপক্ষে গ্রামীণ নম্বরটি চিত্রনায়ক শাকিব খানের নয়।

এই মীমাংসাটা না হয় ‘রাজনীতি’ ছবির পরিচালক-প্রযোজকদ্বয় করবেন। কিন্ত ব্যক্তিগত জীবনে যে সমস্যা চলছে তার সুরাহা হবে কিভাবে? ‘এটাও হবে আইনজীবীর মাধ্যমে’-বললেন শাকিব খান। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এই বিষয়টি নিয়ে অনর্থকই বেশি বেশি আলোচনা হচ্ছে। এখানে আমি একটা বিষয় সবাইকে স্পষ্ট করতে চাই। কেউ সংসার ইচ্ছে করে ভেঙে দেয় না। আর ভেঙে দেয়ার জন্য কেউ সংসার করেও না। আমার আর অপুর ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, তার নেপথ্যে অনেক কারণ রয়েছে। আমি হয়তো সবকিছু বলে বুঝাতে পারব না। কিন্ত ভেঙে দেয়ার মতো কিছু কারণ এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে। এসব প্রকাশ্যে বলার প্রয়োজন বোধ করি না।’

শাকিব বলেন, ‘অপু গণমাধ্যমের সামনে কান্নাকাটি করে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। আমি বলবো এসবের কোনো দরকার নেই। যা হবার সময়ই বলে দিবে।’