‘যখন কখনো’ নাটকে যে দুই পরিবারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে, তা কতটা সময়োপযোগী?

সমকালীন জীবনধারার গল্প না হলে হয়তো অভিনয় করতাম না। নাটকে যে দুটি পরিবারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে, তাদের কারও কারও অলৌকিক বিশ্বাস প্রবল, অন্য পরিবারে মা সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। এমন পরিবার কিন্তু এখনও চোখে পড়ে।

নাটকের চরিত্র নিয়েও কি একই কথা বলা যায়?

‘যখন কখনো’ নাটকের প্রতিটি চরিত্রে চেনা-জানা মানুষের ছায়া খুঁজে পাওয়া যাবে। মিসেস রহমান উচ্চবংশীয় মহিলা কিন্তু এখনও তিনি অলৌকিক ঘটনা বিশ্বাস করেন। আবার মেহরাব উদ্দিনের পরিবারে দেখা যায়, তার স্ত্রী আমেনা বেগম অন্ধ হলেও সংসারের হাল ধরে রেখেছেন। আমার চরিত্রের মধ্যে পাশের বাড়ির সহজ-সরল মেয়ের ছায়া আছে।

আপনার অন্যান্য নাটক নিয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়া কী?

‘অলসপুর’ নাটকটি অনেকে নিয়মিত দেখেন। যে জন্য এর পর্ব সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’ ও ‘অলি’ অনেকের ভালো লাগছে বলেও শুনেছি। ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’সহ অন্যান্য নাটকের নির্দিষ্ট কিছু দর্শক আছে। আশার কথা হলো, টিভিতে না হলেও ইউটিউবে অনেকে নাটক দেখতে পাচ্ছেন।

অভিনয়ে নিজেকে ভাঙার জন্যই কি নাটক, টেলিছবি ও চলচ্চিত্রে অনেক বাছ-বিচার করে কাজ করেন?

আমি নিরীক্ষাধর্মী কাজ করতে চাই, কিন্তু সব সময় তা হয়ে ওঠে না। অভিনয়ে নিজেকে ভাঙতে চাইলেও সুযোগ কতটুকু থাকে, সেটা দেখার বিষয়। গল্প, চরিত্র, নাটক বা চলচ্চিত্রের নির্মাণ বাজেটের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যে জন্য সময় বলে দেয়, কখন কী করতে হবে। এ জন্য যতটুকু সুযোগ পাই, তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। নিয়মিত চেষ্টা থেকে ভালো কিছু হতে পারে- এটাই আমি বিশ্বাস করি।

চলচ্চিত্র নিয়ে কোনো ব্যস্ততা আছে?

এ মুহূর্তে তেমন কোনো ব্যস্ততা নেই। ক’দিন আগে ‘শেষ প্রহর’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির কাজ করেছি। তারও আগে অভিনয় করেছি ‘শেষ দেখা’, ‘হডসনের বন্দুক’, ‘ছিটমহল’সহ বেশ কিছু ছবিতে। কিন্তু ছবিগুলো কবে মুক্তি পাবে নিজেও জানি না।