পাকিস্তান ও চীন সীমান্তের মত বাংলাদেশ সীমান্তেও চুপসে যাচ্ছে ভারত

ভারত-পাকিস্তান বা ভারত-চীন সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে থাকলেও, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) বরাবরই আগ্রাসী আচরণ করে আসছে। ২০১১ সালের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ 'শুট-টু-কিল' নীতি অনুসরণ করছে, যদিও ভারত সবসময় বাংলাদেশকে 'বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ' হিসেবে দাবি করে আসছে।
তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের সময়ে বলা হয়েছিল, “আমরা যা দিয়েছি, ভারত আজীবন মনে রাখবে।” অথচ সেই সময়েই সীমান্তে ৭০০-র বেশি মানুষ বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। অনেক বিশ্লেষকের মতে, পাকিস্তান কিংবা চীন সীমান্তে জোরালো অবস্থান দেখাতে না পারায় বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে নিজেদের তথাকথিত 'বীরত্ব' প্রদর্শন করে।
ভারত-চীন যুদ্ধের ইতিহাসও এ দাবিকে সমর্থন করে। ১৯৬২ সালে চীনের কাছে লজ্জাজনকভাবে হেরে যায় ভারত, এবং আকসাই চিন অঞ্চল হারায়। ১৯৮৭, ২০১৩, ২০১৭, ২০২০ ও ২০২১ সালেও সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, এবং প্রত্যেকবারই চীনের কাছে বড় ক্ষতির মুখে পড়ে ভারত। বিশেষ করে ২০২০ সালে, অস্ত্র ছাড়া সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয় চীনা সেনার হাতে।
পাকিস্তান সীমানায়ও ভারতের অবস্থা ভালো নয়। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরপরই পাকিস্তান কাশ্মীরের বড় একটি অংশ দখল করে। এরপর ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে এবং ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে ভারতের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়, যদিও শেষ যুদ্ধে ভারত জয় পায়।
বাংলাদেশ সীমান্তেও ঘটেছে এমন লজ্জাজনক অধ্যায়। ২০০১ সালে বরইবাড়ি সংঘর্ষে মাত্র ৮ জন বিডিআর সদস্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে। ভারতীয় সেনারা পিছু হটে পালিয়ে যায় এবং ১৫টি মরদেহ ফেলে যায় বাংলাদেশের ভেতরে। তবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ভারতকে আশ্বস্ত করে, এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না।
এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরের শাসনামলে বিএসএফ প্রায় প্রতিদিনই সাধারণ বাংলাদেশিদের হত্যা করেছে সীমান্তে। সেন্টার ফর রাইটস, ল’ অ্যান্ড জাস্টিস এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৭০০-র বেশি মানুষ নিহত হয় বিএসএফের হাতে, কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তবে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর দৃশ্যপট বদলাতে শুরু করেছে। ২০২৫ সালের শুরু থেকে বিএসএফ সীমান্তে বেআইনিভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে বিএনপি সরকার কড়া প্রতিবাদ জানায়, ফলে ভারতীয় বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়।
বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (BGB) স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—“পেছন ঘুরে নয়, বুকে সাহস নিয়ে দাঁড়াও।” ফলে এখন বিএসএফ বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তেও পাকিস্তান বা চীনের মতো সতর্ক অবস্থান নিতে। পরিস্থিতি পাল্টেছে, এবার প্রশ্ন—এই নতুন অবস্থান কতদিন বজায় থাকবে?
- এক ঘোষণাতে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
- ভয়াবহ বিপদে ‘কাউয়া’ কাদের, এবার পালাবেন কোথায়
- চলে যাওয়ার আগে দেশের সেরা অধিনায়কের নাম বলে গেলেন ইমরুল কায়েস
- মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া
- সৌদি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ: জেল, জরিমানা ও বহিষ্কার হতে পারেন আপনিও
- অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে লাহোরের সেরা বোলার আজ রিশাদ হোসেন
- ছুটি ও বেতন ইস্যুতে বড় সুখবর
- আবারও উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন স্কোর
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর: বাড়ছে...
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ, মা-বোনের আকুতি; ওরে মাইরা ফালাইবো, ওরে বাঁচান
- সৌদি আরবের ইকামা ও ভিসা নিয়ে পাওয়া নতুন খবর
- তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত শান্ত,দেখেনিন স্কোরবোর্ড
- একটা বাচ্চা ছেলেও বলবে এটা ম্যাচ ফিক্সিং ছিলো
- বাংলাদেশকে অনেক বড় সুখবর দিল কাতার
- রাজপথ দখল করতে চায় আ. লীগ, যেভাবে চলছে প্রস্তুতি