চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা: বাবা-ছেলের লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, ইপিজেড এবং তেল শোধনাগারসহ জাতীয় স্থাপনাগুলোর অবস্থান এখানে। এই আসনটি দেশের অর্থনৈতিক জগতের এক প্রাণকেন্দ্র, যেখানে রাজনৈতিক লড়াইও তীব্র।
১৯৯১ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তখন থেকেই চট্টগ্রাম-১১ আসনটি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হয়ে ওঠে। এরপর এই আসনে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী দীর্ঘ সময় ধরে বিজয়ী হন। তবে, গত কয়েক বছর ধরে এই আসনটি আওয়ামী লীগের এমএ লতিফের দখলে ছিল। নির্বাচনী সমীকরণে নতুন এক twist এসেছে, যখন বিএনপির দুই নেতা—বাবা ও ছেলে—এই আসনের মনোনয়ন দাবি করছেন।
বাবা ও ছেলের রাজনৈতিক লড়াই
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী, আবারও চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন। দীর্ঘ সময় ধরে এই আসনের রাজনীতিতে তার প্রভাব রয়েছে। তবে এবার নতুন এক প্রার্থী আলোচনায় এসেছে—তার ছেলে ইসরাফিল মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জানান, "আমি কখনো ব্যক্তিগত স্বার্থে রাজনীতি করি না। যদি দল আমাকে যোগ্য মনে করে, তবে এটি আমার সৌভাগ্য হবে।"
আমির খসরু জানান, তিনি যদি চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে মনোনয়ন পান, তবে চট্টগ্রাম-১১ আসনটি তার ছেলের জন্য ছেড়ে দেবেন। এর মাধ্যমে বিএনপির এই দুই প্রার্থী এক নতুন দিক নিয়ে আসছেন। তারা বিশ্বাস করেন যে, তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দলের প্রতি নিবেদিততা আসন্ন নির্বাচনে তাদের জয়ী করবে।
জামায়াতের শক্তি প্রদর্শন
এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও চট্টগ্রাম-১১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। সাবেক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর শফিউল আলম জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শফিউল আলম তার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, "আমি চসিকের কাউন্সিলর থাকাকালীন সময়ে জনগণের জন্য অনেক কাজ করেছি। এবার চট্টগ্রাম-১১ আসনে উন্নয়ন এবং নিরাপদ বাসস্থানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।"
তিনি আরও বলেন, "এখানে শুধু উচ্চবিত্ত নয়, নিম্নবিত্ত মানুষেরও বাস। তাদের সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরে সমাধান হয়নি। আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই।"
রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে
চট্টগ্রাম-১১ আসন নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিএনপি এবং জামায়াতের প্রার্থীরা মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর তাদের অবস্থান সস্পর্কে কিছুটা ধোঁয়াশা দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম-১১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী শফিউল আলম ইতোমধ্যে জনসংযোগ শুরু করেছেন এবং তার প্রচারণায় ভালো সাড়া পেয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি এই আসনে নাগরিক সমস্যা সমাধান করতে চাই। জলাবদ্ধতা, দখলবাজি এবং চাঁদাবাজির মতো সমস্যা সমাধানে জনগণের সাহায্য চাই।"
নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ
চট্টগ্রাম-১১ আসন এবার আরও একটি উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। বিএনপির পুরোনো এবং নতুন প্রার্থীরা, জামায়াতের শক্তিশালী প্রার্থী, এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি—সব মিলিয়ে নির্বাচন আরও চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে। তবে, সবচেয়ে বেশি নজর রাখা হচ্ছে আমির খসরু এবং তার ছেলের রাজনৈতিক কৌশল ও প্রচারণায়। তাদের অভিজ্ঞতা এবং দলীয় ঐক্যকে সামনে রেখে, এই আসনে ফলাফল কী হবে তা সময়ই বলবে।
চট্টগ্রাম-১১ আসনে আসন্ন নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক নয়, দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা হচ্ছে যে, এই নির্বাচনী যুদ্ধ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
- চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা: বাবা-ছেলের লড়াই
- দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ, ১৬ ওভার শেষে দেখেনিন স্কোর
- ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়া ব্যক্তি শনাক্ত, প্রকাশ্যে এলো নাম
- হঠাৎ সয়াবিন তেলের লিটার কত হলো,জেনেনিন দাম
- জয়ের জন্য ১৮ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও......
- জয়ের জন্য ৯২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও যত রান
- স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ভারতের ভিসা নিয়ে পাওয়া গেলো নতুন খবর
- বান্ধবীকে স্যুটকেসে ভরে হোস্টেলে ঢোকানোর সময় ধরা পড়লেন এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী
- দাম কমলো পেঁয়াজের
- চরম দু:সংবাদ : আজ থেকে সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ
- এভাবেও ফিরে আসা যায়, আইপিএলে ৭ বছর পর আবারও....
- ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ দল,দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
- স্বামীর টানে ২৪ বছর পর ফিরে এলেন ডেনমার্কের মারিয়া