একসঙ্গে নিহত একই পরিবারের ৪ জন

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন সাইফুল ইসলাম। সেখানেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারি ইউনিয়নের দুর্বারচর গ্রামে বেড়াতে আসেন। এবার বোন, ভগ্নিপতি ও ভাগনিদের নিয়ে একসঙ্গে ঈদ করতে চেয়েছিলেন। সে অনুযায়ী সবাইকে দাওয়াত দেন। দাওয়াত রক্ষাও করা হয়। কিন্তু ঈদ আর করা হয়নি। ঈদের কেনাকাটা করে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের চারজনের নিথর দেহ পড়ে থাকে সড়কে।
শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামের বৈশাখী মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন একই উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের দুর্বারচর গ্রামের কুলসুমা বেগম (৯৫), তার মেয়ে দিলরুবা খাতুন (৪০), দিলরুবার দুই মেয়ে রীতি আক্তার (১৪) ও প্রীতি আক্তার (৭)। গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিলরুবার মেয়ে মাহি আক্তার (১৬) ও ভাতিজি শ্যামলী আক্তার (২০)।
নিহতদের মধ্যে প্রীতি প্রথম শ্রেণিতে ও রীতি অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তাদের বোন মাহি এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। মামাতো বোন শ্যামলী বিবাহিত।
দুর্ঘটনার সময় পুলিশ বালুবাহী ট্রাকচাপায় নিহত হওয়ার খবর জানালেও নিহতদের পরিবার জানিয়েছে, দ্রুতগতির বাসচাপায় ওই চারজন নিহত হয়েছেন।
নিহত দিলরুবা খাতুনের ভাই সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বোনজামাই মানিক মিয়া (দিলরুবার স্বামী) নেত্রকোনার কেন্দুয়ার বাসিন্দা। তিনি ব্যবসা ও সন্তানদের পড়ালেখার জন্য সবাইকে নিয়ে ময়মনসিংহ শহরের নাটক ঘরলেন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। আমার ইচ্ছে ছিল, সবাই একসঙ্গে ঈদ করবো। মানিক এতে রাজি হয়। সম্প্রতি মা (কুলসুমা বেগম) দিলরুবার বাড়িতে বেড়াতে যান। আমি ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসি। বোন, বোনজামাই, নাতনি ও মাকে গ্রামে নিয়ে আসতে বৃহস্পতিবার আমার স্ত্রী, এক সন্তান ও ভাতিজি শ্যামলীকে নিয়ে শহরের নাটক ঘরলেন এলাকায় তাদের বাড়িতে যাই।’
তিনি বলেন, ‘ভোর পৌনে ৬টার দিকে দুটি অটোরিকশার একটিতে আমি, আমার স্ত্রী ও এক সন্তান ছিল। অন্যটিতে আমার মা (কুলসুমা), মানিক, দিলরুবা, রীতি, প্রীতি, মাহি ও শ্যামলী ছিল। সাড়ে ৬টার দিকে গৌরীপুরের বৈশাখী মোড় পর্যন্ত আসতেই পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি বাস অটোরিকশায় চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে আমার মা, বোন ও ভাগ্নিসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করবো, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করবো এমন পরিকল্পনা ছিল। পরিবারের সবাই ঈদের জন্য অনেক কেনাকাটা করেছে। এগুলো নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হচ্ছিল। এরইমধ্যে নিমিষেই চারটি তরতাজা প্রাণ শেষ হয়ে গেলো। বাসচালককে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আনোয়ার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘটনার সময় খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম, ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে নিহতদের পরিবার জানিয়েছে, অটোরিকশাটির সংঘর্ষ হয়েছে বাসের সঙ্গে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আহত মাহি ও শ্যামলীর চিকিৎসা চলছে।
- জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ
- সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হারের বিশাল পতন
- সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস, ভারতে তোলপাড়
- সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা
- মানিব্যাগে ভুলেও যেসব জিনিস রাখবেন না
- ৫ এপ্রিল ঝড় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে যে যে জেলায়
- IPL 2025 : চরম উত্তেজনায় শেষ হলো কোলকাতা ও মুম্বাইয়ে ম্যাচ
- বাংলাদেশে আজ ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- বাংলাদেশে আসছে স্টারলিংক: দাম ও সেবা পেতে যা জানতে হবে
- মনের ভুলেও খেজুর খাবেন না যারা
- এপ্রিলে শিলাবৃষ্টি, নিম্নচাপ, কালবৈশাখী ও তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা
- স্কয়ার ফুডে চাকরির সুযোগ,আগ্রহীরা আবেদন করুন আজই
- কমে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট,দেখেনিন আজকের রেট
- মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প মৃতের সংখ্যা ২,৭১৯ ছাড়াল
- ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভবিষ্যবাণী করলেন কোহলি