আবরার ফাহাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি, স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করলেন তার মা

বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পদক তুলে দেন। আবরার ফাহাদের পক্ষে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন তার মা রোকেয়া খাতুন।
আবরারের পরিবারের প্রতিক্রিয়া
এ পুরস্কার পাওয়ার পর আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন। তিনি লেখেন, "I wish কোনো মাকে তাঁর সন্তানের পক্ষে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক গ্রহণ না করা লাগতো। আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পদকের জন্য যারা নির্বাচিত করার কাজে যুক্ত ছিলেন, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ভারত বা অন্যান্য চাপ উপেক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনোভাবেই সহজ ছিলো বলে আমরা মনে করি না। তবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে হলে যদি দিল্লীর সাথে আপোস করা না লাগে তাহলেই আবরার ফাহাদের আত্মত্যাগের প্রকৃত স্বীকৃতি দেওয়া হবে। না হলে এই পদকও আসলে মূল্যহীন।"
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি ও পানি আগ্রাসন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরার ফাহাদকে শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে নিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মাত্র ৩৭ দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করে ১৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২১ সালে আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আবরার ফাহাদের সংক্ষিপ্ত জীবন
আবরার ফাহাদ ১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. বরকত উল্লাহ এবং মা রোকেয়া খাতুন। তিনি কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০১৮ সালে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু ২০১৯ সালে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে তার শিক্ষাজীবন ও স্বপ্ন অসমাপ্ত থেকে যায়।
আবরারের পরিবারের মতে, স্বাধীনতা পদক তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিলেও প্রকৃত অর্থে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক না হলে এই স্বীকৃতির যথার্থ মূল্যায়ন হবে না। তার আত্মত্যাগ যেন শুধু স্মরণীয় না থাকে, বরং দেশকে আরও স্বাধীন ও শক্তিশালী করার অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে—এটাই সবার প্রত্যাশা।
- জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ
- সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হারের বিশাল পতন
- সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস, ভারতে তোলপাড়
- সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা
- মানিব্যাগে ভুলেও যেসব জিনিস রাখবেন না
- ৫ এপ্রিল ঝড় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে যে যে জেলায়
- IPL 2025 : চরম উত্তেজনায় শেষ হলো কোলকাতা ও মুম্বাইয়ে ম্যাচ
- বাংলাদেশে আজ ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- বাংলাদেশে আসছে স্টারলিংক: দাম ও সেবা পেতে যা জানতে হবে
- মনের ভুলেও খেজুর খাবেন না যারা
- এপ্রিলে শিলাবৃষ্টি, নিম্নচাপ, কালবৈশাখী ও তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা
- স্কয়ার ফুডে চাকরির সুযোগ,আগ্রহীরা আবেদন করুন আজই
- কমে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট,দেখেনিন আজকের রেট
- মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প মৃতের সংখ্যা ২,৭১৯ ছাড়াল
- ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভবিষ্যবাণী করলেন কোহলি