| ঢাকা, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১

বিয়ে করার ক্ষেত্রে নবীর (সা.) নির্দেশিত গুণাবলি”

২০২৫ মার্চ ২২ ২১:৩৪:৪৮
বিয়ে করার ক্ষেত্রে নবীর (সা.) নির্দেশিত গুণাবলি”

ইসলামে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে বিবেচিত। হাদিসে এসেছে, একজন মুমিনের ঈমানের পূর্ণতা অর্জনে বিয়ের ভূমিকা অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিয়ে করল সে তার অর্ধেক ঈমান পূর্ণ করে ফেলল। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (বায়হাকি, শুআবুল ইমান)।

বিয়ের গুরুত্ব এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘হে যুবক সকল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম সে যেন বিয়ে করে। কারণ, বিয়ে করলে দৃষ্টিকে নিচু রাখা যায় এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করা যায়। আর যে ব্যক্তি বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না সে যেন রোজা রাখতে থাকে। কারণ রোজা তার খাহেশকে কমিয়ে দেবে।’ (বুখারি, মুসলিম)

পাত্রী পছন্দের ক্ষেত্রে করণীয়

রাসূলুল্লাহ (সা.) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বিয়ের ক্ষেত্রে বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে আত্মিক ও ঈমানের সৌন্দর্যকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, ‘নারীদের চারটি গুণ দেখে বিয়ে করো : তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী। তবে তুমি দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেবে। নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০৯০)

উত্তম চরিত্র ও দ্বীনদারী

রাসূল (সা.) আরও বলেছেন, ‘যখন তোমাদের নিকট কোনো পাত্র বিয়ের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের যদি পছন্দ হয়, তাহলে তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করো। অন্যথা জমিনে বড় বিপদ দেখা দেবে এবং সুদূরপ্রসারী বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৮৪-৮৫)

বিবাহের আগে দেখার অনুমতি

বিয়ের আগে পাত্র বা পাত্রীর একে অপরকে দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যাতে করে তাদের মধ্যে পরস্পর ভালোবাসা ও সম্মান জন্মায়। হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আমি জনৈক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব করলাম। রাসূল (সা.) আমাকে বললেন, “তুমি কি তাকে দেখেছ?” আমি বললাম, না। তিনি বললেন, “তাকে দেখে নাও। কেননা এতে তোমাদের উভয়ের মধ্যে ভালোবাসা জন্মাবে।”’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৩১০৭)

বিবাহের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্কতা

আরেকটি হাদিসে এসেছে, এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর নিকট এসে বলল যে, সে আনসারি এক মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। রাসূল (সা.) বললেন, ‘তাকে দেখেছ কি? কেননা আনসারদের চোখে দোষ থাকে।’ (সহিহ মুসলিম)

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, পাত্র বা পাত্রীর মাঝে কোনো ত্রুটি আছে কিনা, তা জেনে নেওয়া উভয়ের অধিকার। রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্বদা মুসলিমদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তাদের জীবনে শান্তি ও সফলতা আসে।

ক্রিকেট

ম্যাচ হেরে মুস্তাফিজকে মনে করিয়ে দিয়ে যা বললেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ ফ্লেমিং

ম্যাচ হেরে মুস্তাফিজকে মনে করিয়ে দিয়ে যা বললেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ ফ্লেমিং

চিপকের পিচ বুঝতে না পেরেই বিপর্যয়। ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ৫০ রানে হারের ...

বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরনিয়ে নেয়া হলো নতুন সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরনিয়ে নেয়া হলো নতুন সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিশ্চিত করেছে যে, আসন্ন পাকিস্তান সফরে নির্ধারিত ওয়ানডে (ওডিআই) সিরিজটি বাতিল ...



রে