জুমার দিন এই ৮টি আমল ভুলেও বাদ দিবেন না

শুক্রবার সপ্তাহের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বার। সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়াছে। এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)
চারটি আমল একসঙ্গেশুক্রবারে কী কী আমল করা সুন্নত তা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে কিছু আমল ধারাবাহিক উল্লেখ করা হচ্ছে- এক. গোসল করা। দুই. উত্তম পোশাক পরিধান করা। তিন. সুগন্ধি ব্যবহার করা। চার. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।
এই চারটি আমলের কথা একসঙ্গে একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন—
যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে।(আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)
আগেভাগে মসজিদে যাওয়াশুক্রবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে- আগেভাগে মসজিদে যাওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝো।’ (সুরা জুমা, আয়াত : ০৯)
হাদিসে রাসুল (সা.) আরও বলেছেন—
জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা অবস্থান করেন। এবং ক্রমানুসারে আগে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো— যে একটি মোটাতাজা উট কোরবানি করে। এরপর যে আসে সে ওই ব্যক্তি— যে একটি গাভী কোরবানি করে। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি— মুরগি দানকারীর ন্যায়। তারপর ইমাম যখন বের হন, তখন ফেরেশতাগণ তাদের লেখা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনতে থাকেন।(বুখারি, হাদিস : ৯২৯)
সুরা কাহাফ তিলওয়াতমর্যাদপূর্ণ এই দিনের বিশেষ একটি আমল হচ্ছে সুরা কাহফ তিলওয়াত করা। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে। (আমালুল ইয়াওমী ওয়াল লাইল, হাদিস : ৯৫২)
বেশি বেশি দরুদ পাঠ করাএই দিনের আরেকটি আমল হচ্ছে নবীজির ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। এই মর্মে রাসুল (সা.) বলেন, ‘দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুশ করা হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)
দোয়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়াজুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ একটি আমল হচ্ছে দোয়ার প্রতি মনোনিবেশ করা। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে যে, তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর নিকট যে দোয়া করবে আল্লাহ তা কবুল করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)
- সৌদি আরবে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা
- সৌদিতে ঈদের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি, ঘোষণা আসছে
- মালয়েশিয়ায় ঈদের তারিখ ঘোষণা
- বাংলাদেশে ঈদ কবে, জানালো মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম
- বাংলাদেশ দলে খেলে যত টাকা পেয়েছেন হামজা
- বাংলাদেশে ঈদ কবে, যা জানালেন জ্যোতির্বিদরা
- গত ২০ বছরে এমন দৃশ্য দেখেননি বাস শ্রমিকরা
- ৩ দেশে ঈদের তারিখ ঘোষণা
- ম্যাচ হেরে মুস্তাফিজকে মনে করিয়ে দিয়ে যা বললেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ ফ্লেমিং
- সৌদি ও মালয়েশিয়াসহ ৫ দেশের ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা
- সৌদি আরবে ঈদের জামাতের সময় সূচি ঘোষণা
- বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত, ধরে যায় আগুন, কেউ বেঁচে নেই
- স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ
- পিঠ ও কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ৫টি ঘরোয়া প্রতিকার
- ভেঙ্গে গেলো মেসির রেকর্ড