ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বেশ কিছু জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতের আদেশ ও পটভূমি

মঙ্গলবার (১১ মার্চ ২০২৫) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম আদালতে আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অনুসন্ধান সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এসব সম্পত্তি যেন মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর করতে না পারেন, সে জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়।

যে সম্পত্তিগুলো ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে

আদালতের নির্দেশনায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নিম্নলিখিত সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে—

দুদকের যুক্তি ও আদালতের পর্যবেক্ষণ

দুদকের মতে, অভিযুক্তরা তাদের সম্পত্তি স্থানান্তর করতে চাইছেন এবং তদন্তের স্বার্থে তা রোধ করা জরুরি। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দেন।

ভবিষ্যৎ প্রভাব ও আইনি পদক্ষেপ

• আপিলের সুযোগ: শেখ হাসিনার পরিবার আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন।
• তদন্ত চলমান: সম্পদ ক্রোকের পরপরই তদন্ত অব্যাহত থাকবে এবং সম্পদগুলোর প্রকৃত মালিকানা ও উৎস যাচাই করা হবে।
• রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া: আদালতের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

এখন দেখার বিষয়, শেখ হাসিনার পরিবার এই রায়ের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেয়।