বুধবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্বের সৎ ও কর্মঠতার শীর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে যারা সরাসরি যুক্ত তাদের বিচার হয়েছে। এখন তদন্তের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদেরও বিচার হওয়া প্রয়োজন। বিডিআর বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রে খালেদা জিয়া জড়িত তা না হলে খালেদা জিয়া বেলা ১২ টার আগে ঘুম থেকে ওঠেন না অথচ সেদিন তিনি সকাল ৬টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে ৭টার মধ্যে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে কেন বাইরে গেলেন? সেদিন তারেক রহমানের সঙ্গে ফোনালাপে খালেদা জিয়ার কি কি কথা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

‘বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জনকে হত্যা করে কে বা কারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হলো’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহে সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ লাভবান হয়নি। এই ঘটনায় যদি কারো লাভ হয়ে থাকে তা হয়েছে বিএনপি ও খালেদা জিয়ার।

বিডিআর বিদ্রোহে আওয়ামী লীগ কোনো ভাবেই লাভবান হয়নি। বরং আওয়ামী লীগের ক্ষতি হয়েছে। বিদ্রোহের সময় আওয়ামী লীগ মাত্র ক্ষমতায় বসেছে। তখনই সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের ১৭৭টি দেশের সৎ রাজনীতিবিদদের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান তৃতীয়। এটি দেশ ও জাতির জন্য গৌরবের। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’কে জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছিলেন এতেই প্রমাণিত হয়, তার যে কালো টাকা ছিল তা দালিলিক ভাবে স্বীকার করেছেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা কালে দেশ দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। দেশকে দুর্নীতির মহাসাগরে রূপান্তর করেছিলেন বেগম জিয়া।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা শফিকুর বাহার বিপুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সভাপতি জিন্নাত আলী জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ