প্রবাসী শ্রমিকদের মেডিকেল টেস্টের নামে হয়রানি: হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা

বৈদেশিক কর্মসংস্থানের আশায় দেশ ছাড়তে চাওয়া শ্রমিকদের পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, বিশেষ করে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে। এই সুযোগে কিছু অসাধু চক্র কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, অথচ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় যেন নির্বিকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চক্র ভাঙতে সরকারকে দ্রুত অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।
যেখানে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি, সেখানে বিদেশগামী শ্রমিকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার মতো জরুরি বিষয়েই পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি কাতার ভিসা কার্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে অনুসন্ধানে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন, মেডিকেল টেস্টের নামে তাদের একটি চক্র বারবার হয়রানি করছে। ভিসার মেয়াদ তিন মাস হলেও, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ করতেই এই সময়সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, তারা দুই মাসে দশ থেকে বারো বারের বেশি মেডিকেল সেন্টারে গিয়েছেন।
অনেকের দাবি, রিপোর্টে সমস্যা আছে বলা হলেও, বাইরে অন্য ক্লিনিকে পরীক্ষা করিয়ে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে কাতার ভিসা সেন্টারের কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
কাতার ভিসা সেন্টার ছাড়াও অন্যান্য ভিসা সেন্টারগুলোতেও একই চিত্র দেখা গেছে। অনেক সেন্টারেই সেবাগ্রহীতাদের দেখা মেলেনি, আবার কিছু সেন্টারে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের ভিসা নিশ্চিত না হলেও, মেডিকেল টেস্টের নামে প্রতিদিন কোটি টাকার বেশি অর্থ আদায় করছে কিছু অসাধু এজেন্সি।
প্রবাসী শ্রমিকদের মেডিকেল টেস্টের নামে হয়রানি: কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু চক্র
এই গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঞার কাছে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে, তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি সচিব মহোদয়ও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অভিবাসন এবং মেডিকেল টেস্টকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ওয়্যারবি ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক বলেন, “প্রথমত, দেরিতে রিপোর্ট দিয়ে ভিসার স্লট অন্য জায়গায় বিক্রি করার সুযোগ তৈরি হয়। দ্বিতীয়ত, শ্রমিকদের ঘুরিয়ে হয়রানি করার একটি বড় উপায় হলো মেডিকেল টেস্টের ভয় দেখিয়ে বলা যে, পরীক্ষায় সমস্যা আছে এবং ওষুধ খেয়ে সুস্থ হতে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “মেডিকেল টেস্টের পুরো প্রক্রিয়াতেই সিন্ডিকেট কাজ করছে। এই চক্র ভাঙতে টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান চালানো জরুরি।”
অন্যান্য দেশে যেখানে এক মাসেরও কম সময়ে ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, সেখানে বাংলাদেশে মেডিকেলসহ ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেক শ্রমিক সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, একদিকে যেমন শ্রমিকদের ভোগান্তি বাড়বে, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
- দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ, ১৬ ওভার শেষে দেখেনিন স্কোর
- ভারত থেকে কঠিন সতর্কবার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়া ব্যক্তি শনাক্ত, প্রকাশ্যে এলো নাম
- জয়ের জন্য ১৮ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও......
- জয়ের জন্য ৯২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও যত রান
- ভারতের ভিসা নিয়ে পাওয়া গেলো নতুন খবর
- এভাবেও ফিরে আসা যায়, আইপিএলে ৭ বছর পর আবারও....
- চরম দু:সংবাদ : আজ থেকে সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ
- সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
- ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ দল,দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও কমলো স্বর্ণের দাম
- আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট
- ৬,৬,৬,৬, চার ছক্কার পর সাব্বিরের ৩ রানের আক্ষেপ
- বেড়ে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট,দেখেনিন আজকের রেট
- আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১