| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

ভোটার তালিকা থেকেই বাদ পড়তে পারেন আ.লীগের শীর্ষ নেতারা

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৬ ০৯:৩৫:৪৩
ভোটার তালিকা থেকেই বাদ পড়তে পারেন আ.লীগের শীর্ষ নেতারা

আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) বিচারপ্রক্রিয়া চলমান। মানবতাবিরোধী অপরাধে এঁদের কারো সাজা হলে তিনি আজীবন নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। এছাড়া অপরাধী সাব্যস্ত হলে ভোটার তালিকা থেকেও তাঁদের নাম বাদ পড়তে পারে। ভোটার না হলে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না।

সম্প্রতি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডসংক্রান্ত মামলায় অক্টোবরের মধ্যে তিন-চারটি মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং শীর্ষস্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসামি হিসেবে রয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন আইসিটিতে বিচারের রায় হওয়ার আগে অভিযোগ গ্রহণের দিন থেকেই তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য করার পক্ষে। এই সংস্কার কমিশন এ বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তি ও বাস্তবতা উল্লেখ করে আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে।

কমিশনের এসব প্রস্তাব নিয়ে গতকাল শনিবার থেকেই রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে গত ৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আবারও আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটি নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশও গত বুধবার একই দাবি জানিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে’।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।

গত ১৫ বছরের শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনাকে ‘নৃশংস ইতিহাস’ আখ্যায়িত করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। কমিশন বলছে, ‘ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র গৃহীত হয়েছে (বা হবে), একটি দুর্বৃত্তমুক্ত বাংলাদেশ সৃষ্টির স্বার্থে তাদেরকে নির্বাচনী অঙ্গন থেকে দূরে রাখার কোনো বিকল্প নেই। বস্তুত এসব ভয়াবহ অপরাধীদেরকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলে পুরো জাতির, বিশেষত যাঁরা জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে চরম আত্মত্যাগ করেছেন, তাঁদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার সমতুল্য হবে বলে আমরা মনে করি।’

কমিশন আরো বলেছে, ‘গত ১৫ বছরের শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের নৃশংস ইতিহাস আমাদের সামনে আরেকটি নতুন দ্বিধাদ্বন্দ্বমূলক ইস্যু সৃষ্টি করেছে।

এই সময়ে, বিশেষত গত ১০ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সাংবাদিক-মানবাধিকারকর্মীদের ওপর হামলা ইত্যাদির মতো গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা হচ্ছে এবং এঁদের মধ্যে যাঁরা আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হবেন,

তাঁরা অব্যশ্যই সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য হবেন। তবে আমরা মনে করি যে গত দেড় দশকে আমাদের সমাজে যে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে হলে যাঁরা এসব গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং এখনো এর দায় স্বীকার করেননি বা ক্ষমা চাননি, তাঁদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখা আবশ্যক। কারণ ‘হাউস অব দ্য পিপল’ বা মহান জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি উচ্চতর হওয়া আবশ্যক।

এ প্রসঙ্গে অবশ্য বড় বিবেচ্য বিষয় হাজার বছরের পুরনো জুরিসপ্রুডেন্স (বিচারিক নীতি) হচ্ছে একজন ঘৃণ্যতম ব্যক্তিও নিরপরাধ, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষী সাব্যস্ত না হন। এমনই দ্বিধাদ্বন্দ্বাত্মক পরিস্থিতিতে আমরা বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হয়েছি। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, সংবিধানের ৪৭(৩) ও ৪৭ক-এর আলোকে এবং ৬৬(২) (ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এসব অপরাধীদেরকে, যাঁদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন, আইনানুগভাবে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তাঁদের বিরত রাখা।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর ১২ অনুচ্ছেদে যেসব কারণে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না, তা বলা আছে। এই অনুচ্ছেদের (ণ) উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, কেউ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের অধীনে কোনো অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হলে তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে সংসদ নির্বাচনের যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কে এই অনুচ্ছেদের (ঙ) উপ-অনুচ্ছেদে একই কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ভোটার তালিকা আইন, ১৩(ঘ) ধারায় ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন সম্পর্কে বলা হয়েছে, কেউ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের অধীনে কোনো অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হলে ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়বে। আবার ভোটার না হলে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন আইসিটি আইনে অভিযুক্ত ছাড়াও ফৌজদারি অপরাধে কমপক্ষে দুই বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ক্ষেত্রে আপিল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে দণ্ডপ্রাপ্তির দিন থেকেই নির্বাচনে অযোগ্য করার সুপারিশ করেছে। ফেরারি আসামিদেরও নির্বাচনে অযোগ্য রাখার পক্ষে সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে আইন করার কথা বলা হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের বিষয়টি নিয়ে আমাদের উচ্চ আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে, যদিও বিচারের রায় অস্পষ্ট, এমনকি পরস্পরবিরোধী। তবে সব ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশন ও আদালত দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আপিল দায়ের করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে কিংবা সংসদ সদস্য পদে বহাল থাকতে দিয়েছেন।

তথ্য সুত্র : কালেরকন্ঠ

ক্রিকেট

একাই ৬ উইকেট নিয়ে তাক লাগালেন বাংলাদেশী ক্রিকেটার

একাই ৬ উইকেট নিয়ে তাক লাগালেন বাংলাদেশী ক্রিকেটার

আজ শুরু হয়েছে ঢাকা উইমেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ ২০২৫। উদ্বোধনী দিনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আলো ...

আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের সেরা একাদশ ঘোষণা

আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের সেরা একাদশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মাসের ২০ তারিখ, দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচ, ...

ফুটবল

টিভিতে আজকের সকল খেলার সময় সূচি

টিভিতে আজকের সকল খেলার সময় সূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের রাতের খেলা প্রেমীদের জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে, যেখানে ক্রিকেট ও ...

চরম উত্তেজনায় শেষ হলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবল ম্যাচ

চরম উত্তেজনায় শেষ হলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবল ম্যাচ

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে শিরোপা লড়াই মানেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরেও ...



রে