| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১

কমলো জ্বালানি তেলের দাম

বিশ্ব ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৩ ২১:১৬:৪৩
কমলো জ্বালানি তেলের দাম

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ৪ শতাংশের বেশি কমেছে। মূলত মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়া এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানির চাহিদা দুর্বল হওয়ার আশঙ্কার কারণে এই মূল্য হ্রাস ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩ দশমিক ৩৩ ডলার বা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭০ দশমিক ৫০ ডলারে নেমে আসে। একই দিনে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩ দশমিক ২৮ ডলার বা ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৭৪ দশমিক ১৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে লেনদেনের সময় উভয় বেঞ্চমার্কের দাম অন্তত চার ডলার কমে গিয়েছিল, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক পতনগুলোর একটি।

দাম কমার কারণবিশ্লেষকদের মতে, ইরানের তেল স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা না করার ঘোষণা এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার শঙ্কায় চাহিদা কমে যাওয়ার পূর্বাভাস তেলের দামের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে।

সম্প্রতি গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং ইরান-ইসরায়েল সম্পর্কের টানাপোড়েনের ফলে বাজারে তেলের দামের অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল। তবে ইসরায়েল সরকার ইরানের তেল স্থাপনায় সরাসরি হামলা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি পেয়েছেন এবং তেলের দাম কমে গেছে।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ও অন্যান্য অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ব অর্থনীতির শ্লথগতির আশঙ্কা করছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও চীনের শিল্পখাতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় তেলের চাহিদাও হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণেই বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাবিশ্ববাজারে তেলের দামের এই পতন সাময়িক নাকি দীর্ঘমেয়াদি হবে, তা নির্ভর করবে ভবিষ্যতের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহের ওপর। যদি বিশ্ব অর্থনীতি দুর্বল হতে থাকে এবং সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে, তাহলে তেলের দাম আরও কমতে পারে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা বেড়ে গেলে বা বড় কোনো সরবরাহ সংকট দেখা দিলে বাজার আবারও চড়া হয়ে উঠতে পারে।

তেলের দামের এই হ্রাস ভোক্তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হলেও, উৎপাদক দেশগুলো বিশেষ করে ওপেক (OPEC) সদস্য রাষ্ট্রগুলো নতুন করে উৎপাদন সীমিত করার পরিকল্পনা নিতে পারে, যা আবার মূল্য বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

এখন দেখার বিষয়, বাজার পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় এবং আগামী দিনগুলোতে তেলের দাম কীভাবে প্রভাবিত হয়।



রে