দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যার সাহায্য চাইলেন ড. ইউনুস

সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে অংশগ্রহণকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দুর্নীতির তদন্তে বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা নতুন ও পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যেতে চাই।”
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগডাভোসে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন। বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে, যা শীর্ষ ২০ অর্থ পাচারকারীকে চিহ্নিত করেছে।
জার্মান মন্ত্রী বয়ফগাং শ্মিথের সঙ্গে বৈঠকে অর্থ চোরাচালান মোকাবিলায় জার্মানির সহযোগিতা কামনা করেন ড. ইউনূস। জবাবে শ্মিথ জানান, এপ্রিল মাসে একটি জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে।
জলবায়ু ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনাসুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্র বিভাগের কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিসের সঙ্গে বৈঠকে সুন্দরবনে কার্বন নিঃসরণ রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সুইজারল্যান্ডের সহায়তা চান ড. ইউনূস। এছাড়া, নেপালের জলবিদ্যুৎ ব্যবহারে ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশকে একীভূত করে একটি অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রস্তাব দেন। তার মতে, এটি বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে সাহায্য করবে।
রোহিঙ্গা সংকট ও আঞ্চলিক সহযোগিতাথাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন ড. ইউনূস। তিনি জানান, বাংলাদেশ আরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় দিতে পারছে না। এসময় আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও যুব সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকডাভোসে অবস্থানকালে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রাক্তন মার্কিন বিশেষ দূত জন কেরি, এবং প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গেও বৈঠক করেন ড. ইউনূস। তিনি বিশ্ব নেতাদের কাছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা ও আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি তুলে ধরেন।
ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার সাফল্যবেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি ফেলিক্স শিসেকেদির সঙ্গে বৈঠকে কঙ্গোর সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে ক্ষুদ্রঋণের সাফল্যের বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রিন্স ইমানুয়েল ডি মেরোড জানান, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে ওই অঞ্চলে ২১ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে।
ড. ইউনূসের এই সফর দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
- ৮ রানে ৬ উইকেট বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন লজ্জার রেকর্ড
- নতুন ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- হঠাৎ একি হলো পেঁয়াজের বাজারে
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- বাংলাদেশকে নিয়ে সুর পাল্টালো ভারত
- ঢাকায় ফের আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, রাজপথে দলীয় কর্মীরা
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- লাহোর কালান্দার্স বনাম মুলতান সুলতানস: ম্যাচ শুরুর সময়, একাদশ ও পরিসংখ্যান
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন