| ঢাকা, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১

নির্বাচন নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালেন : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২৪ ডিসেম্বর ২৭ ১৫:২৪:৩১
নির্বাচন নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালেন : প্রধান উপদেষ্টা

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য একটি ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। তিনি ঐক্য, সংস্কার এবং নির্বাচন—এই তিনটি বিষয়কে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে তুলে ধরেছেন। তাঁর মূল বক্তব্যগুলোর কিছু প্রধান দিক বিশ্লেষণ করা যেতে পারে:

১. ঐক্য, সংস্কার এবং নির্বাচনের সমন্বয়:ড. ইউনূস বলেছেন, ঐক্যবিহীন সংস্কার এবং সংস্কারবিহীন নির্বাচন কোনোভাবেই কার্যকর নয়। এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রূপান্তরের ক্ষেত্রে একটি মৌলিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

২. নাগরিক অংশগ্রহণের গুরুত্ব:সংস্কার প্রক্রিয়ায় শুধু ভোটার নয়, ভবিষ্যৎ ভোটারদেরও সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান। তিনি নাগরিকদের সক্রিয় ভূমিকা পালনকে জরুরি মনে করেন।

১৫টি সংস্কার কমিশনের কাজ নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন বিকল্প সুপারিশ করে তাদের মতামত স্থির করতে সহজতর করা।

৩. জাতীয় ঐকমত্য গঠনের প্রয়োজনীয়তা:সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন, সুপারিশের ভিত্তিতে সরাসরি গ্রহণ করার পরিবর্তে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা ও সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে।

৪. বৈষম্য দূরীকরণ ও সাম্য প্রতিষ্ঠা:ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি ভিশন দিয়েছেন, যেখানে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতাভিত্তিক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৫. জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য:তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য উল্লেখ করে বলেন, এটি শুধু বাংলাদেশকে মুক্ত করেনি, বরং জাতিকে তার আদর্শের প্রতি সাহসী করেছে।শহীদদের আত্মত্যাগের মর্যাদা দিতে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের ওপর গুরুত্ব দেন।

৬. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দায়িত্ব:স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর তিনি বর্তমান প্রজন্মকে এই ঐতিহাসিক সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।তিনি সতর্ক করেছেন, যদি এই সুযোগ কাজে লাগানো না হয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তা ক্ষমা করবে না।

৭. মানবাধিকার ও সৃজনশীলতার প্রসার:প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত করার কথা উল্লেখ করেন।তিনি এমন একটি পরিবেশের কথা বলেন, যেখানে নাগরিকদের সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তা হওয়ার স্বাধীনতা থাকবে।

ড. ইউনূসের এই বক্তব্য বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট নিরসনে দিকনির্দেশক ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি শুধু একটি রাজনৈতিক আহ্বান নয়, বরং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার একটি ভিশনও বহন করে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

আজ ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ, টিভিতে আজকের সকল খেলার সময়

আজ ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ, টিভিতে আজকের সকল খেলার সময়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে আছে তিনটি ম্যাচ। মেলবোর্ন টেস্ট ও সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের দ্বিতীয় দিন আজ। ...

হঠাৎ করে লাইভে এসে শেখ হাসিনাকে নিয়ে যা বললেন মাশরাফি,জানা গেল আসল তথ্য

হঠাৎ করে লাইভে এসে শেখ হাসিনাকে নিয়ে যা বললেন মাশরাফি,জানা গেল আসল তথ্য

নড়াইলের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার সম্প্রতি একটি লাইভ ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ...

ফুটবল

পাল্টে গেলো ফুটবল বিশ্বের সকল অতীত : নতুন র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করল ফিফা

পাল্টে গেলো ফুটবল বিশ্বের সকল অতীত : নতুন র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করল ফিফা

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলে সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে নারী ফুটবল দলের হাত ধরে। ২০২২ সালের ...

মাঠে নামছে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা, দেখেনিন সময় সূচি

মাঠে নামছে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা, দেখেনিন সময় সূচি

সম্প্রতি কঠিন সময় পার করছে ব্রাজিল ফুটবল দল। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জন্য ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব রীতিমতো ...



রে