যে কারনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মা*ম*লা করলেন যুবলীগকর্মী
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে উত্তেজনা ও আইনি কার্যক্রমের ক্রমবর্ধমান জটিলতা স্পষ্ট। যুবলীগকর্মী কফিল উদ্দিনের মামলাটি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কারণ এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন দলের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
### মামলার মূল পয়েন্ট:1. **মামলার অভিযোগ:** - কফিল উদ্দিন দাবি করেছেন, ছাত্র আন্দোলনে হামলার শিকার হয়েছেন এবং এজন্য তিনি শেখ হাসিনাসহ ১৮৭ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। - আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
2. **কফিলের বক্তব্য:** - তিনি একসময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মিছিলে যেতেন এবং একটি যুবলীগ নেতার সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন। তবে, পরবর্তীতে ছাত্রদের ওপর হামলার পর তাদের পক্ষে দাঁড়ান। - কফিল বলেছেন, তিনি কোনো ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য মামলা করেননি; বরং সরকারের "ফ্যাসিস্ট" আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।
3. **কফিল উদ্দিনের অতীত:** - তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের তিনটি মামলা রয়েছে এবং তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেছেন। আনোয়ারা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) আছে।
4. **আরেকটি মামলা:** - এর আগে ১০ নভেম্বর মো. রাইয়ান নামে এক যুবক কোতোয়ালি থানায় ২৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। - এই মামলায় কফিল উদ্দিন ২৩ নম্বর আসামি এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল প্রধান আসামি।
### প্রেক্ষাপট:- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু। এটি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ছাত্র ও জনতার ক্ষোভ প্রকাশের মঞ্চে পরিণত হয়েছে। - ছাত্র জনতার ওপর হামলার অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক তীব্রতর হয়েছে এবং এর ফলে সরকারি দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
### সম্ভাব্য প্রভাব:- কফিল উদ্দিনের মামলা নতুন করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং পিবিআই-এর তদন্তে যদি ক্ষমতাসীন দলের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কিছু বেরিয়ে আসে, তবে রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হতে পারে।- অন্যদিকে, তার অতীত রেকর্ড ও মামলার সংখ্যা এই অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।
এই প্রেক্ষিতে, আদালত ও তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মামলার সত্যতা প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা বর্তমান রাজনৈতিক উত্তেজনা নিরসনে সহায়ক হতে পারে।
এদিকে কফিলের বিরুদ্ধে ১০ নভেম্বর মামলা হলেও কফিল আদালতে নিজে বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন ১৮ নভেম্বর। সেই মামলায় রাইয়ানকে আসামি করা হয়েছে। রায়ইয়ানকে মামলার ৯২ নাম্বার আসামি করেছেন। এছাড়া তার মামলায় কফিলের করা মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব, মজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ, পিবিআইয়ের সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি ওবায়দুল হক, নেজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ মহসীন, জাহিদুল কবির, এসআই বোরহান উদ্দিন, খাজা এনাম এলাহীসহ ২৬ পুলিশ কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা জানায়, কফিল শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগ পর্যন্ত যুবলীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে যেতেন। এছাড়া নিজেকে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিতেন। এছাড় বাবরের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছেন কফিল। এছাড়া ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিলের ছবিতেও তাকে দেখা গেছে।
কফিল এজাহারে উল্লেখ করেছেন কোতোয়ালী থানার নন্দনকান এলাকার দুই নম্বর গলিতে বসবাস করেন। এছাড়া বাড়ী চট্টগ্রামের আনোয়ারা বলে উল্লেখ করেন। বাবরের বাসাও চট্টগ্রামের নন্দনকানন এলাকায় । বাবরের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার উপর গুলি করার অভিযোগে কয়েকটি মামলা করা হয়েছে। তবে কফিলের মামলার আসামি করা হয়নি বাবরকে। মামলার অভিযোগে কফিল উল্লেখ করেন,গত ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। ওই দিন আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বাকি আসামিরা গুলি করেন। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটান। এতে কফিল হাতে আঘাত পান। ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হন। সুস্থ হয়ে সংশ্লিষ্টদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ায় মামলা করতেও তার দেরি হয় বলে কফিল এজাহারে উল্লেখ করেছেন। মামলার বিষয়ে কফিল উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৬ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে সবকিছু ছিলো, এটা সবাই জানে। আমি ছাত্রলীগ-যুবলীগের কোন পদ পদবীর কোন নেতা না। এক সময় বন্ধুদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মিছিলে যেতাম। আবেগে তাদের মিছিলে যেতাম। যখন ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে তখন বিবেকের তাড়নার ছাত্রদের আন্দোলনে ছিলাম। ছাত্র আন্দোলনে আমার বিবেক জাগ্রত হয়েছে। ছাত্রদের পক্ষ হয়ে ওদের বিরোধিতা করছি। তাই মামলা নিয়ে বিভিন্ন অপ্রপচার চালাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ছবি তুলার বিষয়ে কফিল বলেন,‘প্রোগ্রামে গিয়ে নেতাকে দেখে ছবি তুলার আগ্রহ হয়। সে আগ্রহ থেকে ছবি তুলেছিলাম। এগুলো ছিলো দেখানোর জন্য।’
তিনি আরো বলেন,‘আওয়ামী লীগ আমলে অনেক নির্যাতিত হয়েছি। কারাগারে ছিলাম। আমাকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’ রাইয়ানের বিরুদ্ধে ও নিজের নামের মামলার বিষয়ে মামলার বিষয়ে কফিল বলেন, ‘রাইয়ান ছেলেটা আন্দোলনের ভিকটিম আমিও ভিকটিম। সেইম সময়ে। রাইয়ান আমাকে চিনেনা আমিও তাকে চিনি না। রাইয়ানের সঙ্গে আমার কথা চলতেছে। রাইয়ানের মামলায় আমাকে আসামি করেছে একটি রাজনৈতিক গ্রুপ। তবে রাইয়ানকে কেন আসামি করা হয়েছে এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিষয়টা তুলে আসার জন্য। কারণ রাইয়ানকে আসামি না করলে বিষয়টা হতো না। রাইয়ান মিথ্যা মামলায় আমাকে আসামি করছে। রাইয়ানের বিষয়টা আমি সমাধান করতে পারবো। রাইয়ানের মামলার জন্য আমি পলাতক।’
- হঠাৎ করে যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- চরম দু:সংবাদ : সৌদি হাসপাতালে ড্রোন হামলায় নিহত ৩০ ও বহু মানুষ আহত
- অবাক ক্রিকেটবিশ্ব : বিপিএল ইতিহাসে এটাই প্রথম এমন হাফসেঞ্চুরি
- বাংলাদেশে জন্ম নিলো নতুন রাজনৈতিক দল, ঘোষণা করা হলো দলের নাম
- ব্রেকিং নিউজ: শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করেছে ইন্টারপোল জানা গেল খবরের সত্যতা
- শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমানটিকে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বা হিনী, নিরাপত্তা জোরদার
- এইমাত্র পাওয়া : হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেয়া হল ১১৪ জনকে
- ব্রেকিং নিউজ: কারাগারে বিচারপতি মানিকের মৃত্যু, জানা গেল খবরের সত্যতা
- সিলেটে র ণ ক্ষে ত্র: পুলিশ সদস্যসহ ১২ জন
- এবার প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যে সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- সরকারি কর্মচারীদের ভাতা সিদ্ধান্ত নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম
- বিপিএল মাতাতে আসছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও সুনীল নারিন,খেলবেন যে দলের হয়ে
- হঠাৎ করেই ড. ইউনূসকে চিঠি পাঠালেন নরেন্দ্র মোদি, যা লেখা ছিলো চিঠিতে
- গোল,গোল,গোল ৬-০ গোলে শেষ হলো ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার ফুটবল ম্যাচ