ব্রেকিং নিউজ : অডিও ফাঁস: শেখ হাসিনার কণ্ঠে কঠিন হুঁশিয়ারি

বর্তমানে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে সম্প্রতি একটি নতুন অডিও কথোপকথন ফাঁস হয়েছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই অডিওর মধ্যে শেখ হাসিনাকে দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও তার সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেছে।
ফাঁস হওয়া অডিওর বিষয়বস্তু নিয়ে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে, এবং এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। শেখ হাসিনা, যিনি বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকাকালে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করেছিলেন, এখন ভারতে আশ্রয়ে থাকলেও তিনি দলীয় কর্মকাণ্ড ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
এ ধরনের কথোপকথন থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তিনি এখনও রাজনৈতিক প্রভাব ধরে রাখতে চান এবং তার দলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কৌশল তৈরি করছেন। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা তার দলের প্রতি নিজের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চাচ্ছেন, যদিও তিনি বর্তমানে দেশে ফিরতে পারছেন না।
এছাড়া, এই ধরনের কথোপকথন ফাঁস হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতারও ইঙ্গিত দেয়, বিশেষ করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে। তবে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বা রাজনৈতিক দলের অন্য নেতাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই স্পষ্ট হবে।
ফাঁস হওয়া অডিওতে শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “এই অবৈধ সরকারের অত্যাচারে সারাদেশের মানুষ জর্জরিত। কৃষক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেছে। শ্রমিক আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এই খুনিদের বিচার আমি করবোই ইনশাআল্লাহ।”
তিনি অভিযোগ করেন, “৭ জুলাই থেকে ছাত্ররা যখন আন্দোলন শুরু করে, তখন তাদের সহিংস হওয়ার আগে কোনো গায়েও হাত তোলা হয়নি। কিন্তু এখন আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিয়ে গণহত্যার বিচার চাওয়া হচ্ছে। আসল গণহত্যার দায় ইউনূসের। তার ষড়যন্ত্রে দেশকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে।”
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, “যেসব জঙ্গি জেলে আটক ছিল, তাদের ছেড়ে দেয়ার পেছনে ইউনূসের হাত রয়েছে। তিনি বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান। তার ষড়যন্ত্রই দেশের এই অবস্থার জন্য দায়ী।”
তিনি আরও বলেন, “শেয়ারবাজারের টাকা উধাও, ব্যাংকের টাকা লুট হয়ে গেছে। সেসব টাকার হিসাবও একদিন দিতে হবে।”
জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার গ্রেফতারের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৮ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য সময় প্রার্থনা করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, “শেখ হাসিনা এখন কোথায়?”
ফাঁস হওয়া অডিওতে জানা যায়, সুইডেন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত একটি প্রতিবাদ সভায় ফোনে যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। তিনি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
সর্বশেষ অডিওতে তিনি বারবার বলেন, “দেশে যেসব অন্যায়-অত্যাচার চলছে, তার বিচার একদিন হবেই। জনগণ এই ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দাঁড়াবে।”
ফাঁস হওয়া অডিওগুলো তাকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। তবে তার এই অবস্থান ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের পথ