অবাক ক্রিকেট বিশ্ব : টেন্ডুলকার যা পারেননি, সেটাই করলেন তাঁর ছেলে অর্জুন

শচীন টেন্ডুলকারের নামে অনেক রেকর্ড, অনেক কীর্তি খচিত। তিনি ব্যাট হাতে যেমন বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি, ঠিক তেমনি বল হাতেও ছিলেন দক্ষ। তবে, এমন একটি কাজ ছিল যা কখনও করতে পারেননি শচীন—প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া। আর সেটাই এবার করলেন তাঁর ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার।
অর্জুনের ইতিহাস সৃষ্টি
গোয়ার হয়ে রঞ্জি ট্রফির প্লেট লিগে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ২৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী অর্জুন। এটি ছিল তার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট। ১৭ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটাই তার বড় অর্জন। যদিও শচীনের ক্যারিয়ারে অনেকবার বোলিংয়ের মাধ্যমে ম্যাচও জিতিয়েছেন, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব তার ছিল না। অর্জুন এই মাইলফলক ছুঁয়ে বাবাকে ছাড়িয়ে গেলেন, তবে, এটি শুধুমাত্র পরিসংখ্যানের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ—দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে তুলনা করার কোনো সুযোগ নেই।
বাবার ছায়ায়, নিজের পরিচয়ে
অর্জুন, শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে হিসেবে সর্বদাই চোখে পড়েন, এবং তার পারফরম্যান্সের সঙ্গে বাবার তুলনা চলে আসে। তবে, অর্জুন এখন পর্যন্ত কোথাও বাবার স্তরে পৌঁছতে পারেননি। জাতীয় দল তো দূরের কথা, প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’ কিংবা আইপিএলে তার ক্যারিয়ার এখনও অনেকটাই সাদামাটা। প্রথম শ্রেণিতে ১৭ ম্যাচে ৩৭ উইকেট, লিস্ট ‘এ’-তে ১৫ ম্যাচে ২১ উইকেট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২১ ম্যাচে ২৬ উইকেট তার নামের পাশে। তার বোলিং গড়ও বেশ ওপরে—ওভারপ্রতি ৮.৬১ রান।
তবে, এক হাজারেরও বেশি ম্যাচ খেলা শচীন টেন্ডুলকারের কাছে এসব পরিসংখ্যান খুবই সাধারণ। শচীন, যিনি বিশ্ব ক্রিকেটের 'বাজপাখি', তার ছেলের তুলনায় যে কোথাও অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শচীনের বোলিং দিক: বৈচিত্র্যে ভরা
যদিও শচীনকে অধিকাংশই ব্যাটিংয়ের কারণে চেনেন, তবে বল হাতে তার পারফরম্যান্সও ছিল নজরকাড়া। অফ স্পিন, লেগ স্পিন, মিডিয়াম পেস—এ সবই ছিল তার অস্ত্রাগারে। এমনকি অনিল কুম্বলে-নির্ভর ভারতীয় বোলিংয়ের যুগে অধিনায়করা প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শচীনের কাছে ভরসা রেখেছেন। ১৯৯৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজে কোচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতানো সেই পারফরম্যান্স এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে রয়েছে।
তবে যদি টেনিস এলবো না হত!
একটি ব্যাপার আছে, যা শচীনের বোলিং ক্যারিয়ারের আরও অনেক ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট করেছে। ২০০৫ সালে টেনিস এলবোতে অস্ত্রোপচার না করালে, হয়তো বোলিংয়ে আরও অনেক সফলতা পেত ভারতীয় ক্রিকেট। যদি সে সময় শচীন তার বোলিং ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে পারতেন, তাহলে অর্জুনের বোলিং সাফল্যের সঙ্গে তুলনা করার আরও সুযোগ থাকত।
অর্জুনের জন্য ভবিষ্যৎ কি?
বর্তমানে অর্জুন টেন্ডুলকার যদি আরো ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন, তবে তাঁর নামের সাথে বাবা শচীনের ছায়া কিছুটা দূরে সরিয়ে, নিজস্ব পরিচয় তৈরি করা সম্ভব। যদিও ভারতীয় ক্রিকেটে জায়গা করে নেওয়া সহজ কাজ নয়, তবে যেহেতু তিনি এখনো তরুণ, তাই আগামীর দিনগুলোতে তার জন্য অনেক কিছু অপেক্ষা করতে পারে।
এখনই বাবা শচীনের সাফল্যের পরিপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠা হয়তো সম্ভব নয়, তবে অর্জুনের জন্য একটি ভালো এবং সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সব সুযোগ রয়েছে।
- হঠাৎ পাল্টে গেল রড-সিমেন্টের বাজার
- কনডম তৈরি হয় কোন প্রাণীর অঙ্গ থেকে, অনেকেই জানেন না এই চমকপ্রদ তথ্য
- চরম দু:সংবাদ : বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ
- দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট টাইটানস: টস শেষ, জানুন একাদশে মুস্তাফিজের অবস্থান
- বউয়ের সাথে জমিয়ে রোমান্স করতে খান এই ৫টি খাবার
- একই হাসপাতালে ১৪ নার্স একসঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা, বিরল ঘটনায় চাঞ্চল্য বিশ্বজুড়ে
- বেড়েছে সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে মুস্তাফিজের বিশ্বরেকর্ড
- পাইলট ছাড়াই আকাশে বিমান, যেভাবে বাঁচলেন দুই শতাধিক যাত্রী
- শুধুমাত্র ট্রাম্পের জন্য মসজিদ বন্ধ করলো আরব আমিরাত
- মাঝ আকাশে দুই হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ৫
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশীদের জন্য সুখবর
- মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহীদের জন্য বড় সুখবর, কর্মী নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি
- ওমানে প্রবাসী দম্পতির এ কেমন পরিণতি
- সাবিলা নূরকে নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা-তে শাকিব খান