ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করায় চিন্তার ভাঁজ বিএনপির কপালে

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি আলোচনা সভায় বলেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে একটি দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা বিএনপির জন্য আপত্তির বিষয় নয় বরং আনন্দের কারণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যদি ভবিষ্যতে বিএনপিকেও নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে তাদের পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা ভাবতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, জামায়াতের অনেক নেতাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে এবং অত্যাচার করা হয়েছে। তবে, শেখ হাসিনার সরকারকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিলেও জামায়াত কখনো তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি। তিনি এ বক্তব্যের মাধ্যমে সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব এবং রাজনীতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন।
এই আলোচনায় তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় নিয়ে কথা বলেন, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান বিতর্ক এবং উত্তেজনাকে প্রতিফলিত করে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা বিভিন্ন সংগঠনের নামে মানুষকে হত্যা, গুম, নির্যাতন করেছে তারা তো আরামে আছে। তাদের ধরে ধরে বিচার করেন। অন্যায় করলে তার পরিণাম কী হয় সেটির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
তিনি বলেন, এতগুলো লোক সীমান্ত অতিক্রম করলো, বিদেশে চলে গেলো, হারুনের মতো লোক আমেরিকা চলে গেলো কার সাহায্যে। কে তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এর জবাব কার কাছে চাইবো। কে দেবে এই জবাব।
‘যারা ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়েছে, তারা সেখানে গেলো কীভাবে। অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় না দাঁড় করিয়ে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ কারা করে দিলো। এর জবাব কি সরকার দেবে।’
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, জনগণ তো তাদের (অন্তর্বর্তী সরকারকে) আল্লাহ ভগবানের মতো বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছেন। তারা যদি অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকতে চান আমরা তখন অবিশ্বাস করবো কীভাবে। আমরা কিছুদিন দেখি, এরপর অতীতে যা করেছি ভবিষ্যতেও তা করবো। আমরা যেহেতু মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছি, তাই আমাদের মারতে আর পারবে না। এ সরকার আমাদের বিশ্বাস ও জনগণের আস্থা ভঙ্গ করুক সেটা চাই না।
নির্বাচন করার জন্য যতটুকু সময় দেওয়া দরকার আমরা ততটুকু সময় দেবো- উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কিন্তু সেই সময়টা অতিক্রম হয়ে গেলে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘরে বসে থাকবেন না। অতীতে রাজপথে থেকে যেভাবে সংগ্রাম করেছি, ভবিষ্যতেও করবো। আমরা শুধু একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে চাই।
জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি ও দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম এবং হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের পথ