সাকিবের নিরাপত্তা দিতে না পারলে ১৮ কোটি জনগণের নিরাপত্তা দিবে কিভাবে

নিরাপত্তা ইস্যুর কারণে দেশের মাটিতে সাকিবের অবসর নেয়া হচ্ছে না। দুবাই থেকে থেকে ফিরে গেছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নিরাপত্তা ইস্যুর কারণে সাকিবকে দেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এরপর থেকেই সাকিব ভক্তরা আনন্দোলন শুরু করে মিরপুর। তুলে ৪ দফা দাবি।
আজ লংমার্চের ডাক দিয়েছিলেন সাকিব ভক্তরা। তবে দুপুর নাগাদ তাদের সেই লংমার্চে বড়জোর ৩০-৪০ জন মানুষ একত্রে হয়। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের সামনে সাকিব আল হাসানের সমর্থকদের একটি বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন, সাকিবকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছিলেন। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে হঠাৎ কিছু যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে সাকিব ভক্তদের উপর আক্রমণ করে। এর ফলে স্টেডিয়ামের সামনের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
তবে দ্রুত সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আক্রমণকারী যুবকরা পালিয়ে গেলেও তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ঘটনার পর সাকিবের ভক্তরা পুনরায় স্টেডিয়ামের সামনে অবস্থান নেয়, আর যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়, সে জন্য বাড়তি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) জানিয়েছে যে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আগামীকালের প্রথম টেস্ট নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।
তবে সাকিব ভক্তদের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যদি সাকিবের নিরাপত্তা দিতে না পারে সরকার তাহলে ১৬ কোটি জনগণের নিরাপত্তা দিবে কিভাবে। একজন ব্যক্তির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার তাহলে আমরা কতটুকু নিরাপদ প্রশ্ন তুলেছে আনন্দোলনরতরা।
এরই মাঝে সাব্বির রহমানের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার বক্তব্য ছিল, যখন সরকার সাকিবের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না, তখন সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে কীভাবে নিশ্চিত হবে?
এই মন্তব্যটি নিয়ে সাকিবের ভক্তদের মধ্যে অনেক আলোচনা শুরু হয়েছে। ভক্তদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, একজন জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদের নিরাপত্তা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড় নন, দেশের গর্ব এবং কোটি মানুষের অনুপ্রেরণা। সাকিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারার মানে হচ্ছে, সাধারণ জনগণও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারে।
অনেকে আবার সাব্বিরের এই পোস্টকে সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে দেখছেন। তাদের মতে, এ ধরনের মন্তব্য সরকারের প্রতি আস্থাহীনতার প্রকাশ। তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, সাকিবের মতো ব্যক্তিদের জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজন এবং এটি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
এ নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং ভক্তরা আশা করছেন যে, সরকার এই বিষয়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের পথ