সাকিবকে দেশে আসতে নিষেধ করার অবিশ্বাস্য কারন দেখালেন : ক্রীড়া উপদেষ্টা

সাকিব আল হাসানকে টেস্ট থেকে ঘরের মাঠে বিদায়ের সুযোগ না দেওয়ার কারণ হিসেবে নিরাপত্তা উদ্বেগকেই প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। চট্টগ্রামে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্দোলনের ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাকিবের মতো একজন তারকার বিদায়ের সময় সুষ্ঠু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
আসিফ মাহমুদ আরও জানান, দেশের বাইরে বিদায় নিলে এই ধরনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে, যা সাকিবের জন্যও নিরাপদ হবে। সাকিবের বিদায়ের বিষয়টি যথাযোগ্য মর্যাদায় সম্পন্ন করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো ধরনের আপস করা হবে না। আসিফ মাহমুদের ভাষ্য, ‘সাকিব আল হাসানের যে বিষয়টা আমি সেটা একটা বিবৃতির মাধ্যমে আমার পেইজ থেকে স্পষ্ট করেছি। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ক্রীড়াঙ্গনে যেন কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ না ঘটে এবং খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই বিসিবিকে এই পরামর্শ দিয়েছি আপাতত দেশে না আসার পরামর্শ আমি বিসিবিকে দিয়েছি এবং বিসিবি সেই অনুযায়ী কথা বলেছে।’
ক্রীড়া উপদেষ্টার বলেন, ‘নিরাপত্তা কিন্তু এটা না যে নিরাপদে দেশে এনে খেলানো, নিরাপত্তা এটাও যে দেশে আসলে যদি নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটার কোনো সম্ভাবনা থাকে সেটাকেও আগে থেকে অকার্যকর করা। উভয় দিক থেকেই নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।’
মিরপুরে সাকিব বিরোধী আন্দোলন এবং স্টেডিয়ামের দেয়ালে বিভিন্ন লিখন আসিফ মাহমুদের নির্দেশে হয়েছে এমন দাবি ছিল বেশকিছু আন্দোলনকারীর। যদিও এমন কোনো নির্দেশনা ক্রীড়া উপদেষ্টা দেননি বলে জানালেন তিনি, ‘আমি একটি ভিডিও দেখেছি যেখানে একজন ছাত্র বলছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা বলে গেছেন। আমি বিসিবিতে যখন প্রেস ব্রিফিং করি আমি বলেছিলাম আন্দোলন করা বা মত প্রকাশ করা সবার সাংবিধানিক অধিকার এবং এটাকে যদি কেউ মিসরিড করে বা মিসলিডিং কোনো বক্তব্য দেয় সেটার দায় কিন্তু আমার না।’
‘আন্দোলন করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, আমরাও আন্দোলন করেছি। অভ্যুত্থান করেছি তারপরে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে।’– যোগ করেন আসিফ মাহমুদ।