পল্টি মারলেন হাথুরু : বিসিবিকে মিথ্যাবাদী বানিয়ে দিলেন উল্টো চাপ

বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া চান্ডিকা হাথুরুসিংহে অবশেষে তার অবস্থান পরিস্কার করেছেন এবং নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে অস্বীকার করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি ভিত্তিহীন এবং ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
হাথুরুসিংহে উল্লেখ করেন যে, অভিযোগিত ঘটনাটি ঘটে খেলোয়াড়দের ডাগআউট বা ড্রেসিং রুমে, যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত সার্বক্ষণিক নজরদারির আওতায় থাকে এবং ৪০ থেকে ৫০টিরও বেশি ক্যামেরা খেলার ঘটনাগুলো ধারণ করে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার কোনো সাক্ষী নেই, এবং তিনি অভিযোগকারীকে যাচাই করার সুযোগও পাননি।
এছাড়াও, তিনি বিসিবির অনুমতি ছাড়া ছুটি নেওয়ার অভিযোগটিও অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন যে, ছুটি সংক্রান্ত প্রতিটি বিষয়ে তিনি বোর্ডের অনুমতি নিয়েই কাজ করেছেন।
আরেকটি বিষয় হলো, ঘটনাটি যতটা গুরুতর হিসেবে দাবি করা হয়েছে, আশ্চর্যের ব্যাপার যে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ইভেন্টের পরে অবিলম্বে টিম ম্যানেজার বা কোনও কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানায়নি। যদি অভিযোগ করাও হয়, আমি বিস্মিত যে কেন আমাকে প্রশ্ন করা হয়নি কিংবা আমার কাছ থেকে কিছু জানতে চায়নি। প্রশ্ন উঠছে, কেন এটি কয়েক মাস পরে ইউটিউবে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হলো?
ছুটি নেওয়ার দাবির বিষয়ে, আমি স্পষ্ট করতে চাই যে আমি ব্যক্তিগতভাবে ছুটি নেওয়ার বেলায় সবসময় সিইও এবং ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান উভয়ের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছি এবং পেয়েছি। কোনও সময়ই বিসিবি আমাকে বলেনি যে তারা আমার ছুটি নিয়ে অসন্তুষ্ট। বরং আমি যতবারই ছুটি চেয়েছি, বিসিবি তা মঞ্জুর করেছে। তাদের অনুমতি ছাড়া আমি কখনও ছুটিতে যাইনি।
নতুন বোর্ড সদস্যরা অভিযোগ করলো যে আমি অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছি। আমার ছুটির মধ্যে পড়া সরকারি ছুটির হিসাব করেনি, যেমন ঈদের দিন, শুক্রবার। আমি যখন সরকারি ছুটির সময আমি ছুটি নেইনি, তখন তারা বাহবা দেয়নি। আমি এটা বুঝতে পেরেছি, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী, আমি শুক্রবারে করা কাজের জন্য পরে সেই ছুটি পাওয়ার দাবি রাখি। একজন বিসিবি চাকরিজীবী হিসাবে, আমি শুক্রবার ও বৃহস্পতিবারের অর্ধেক দিন মিলিয়ে দেড় দিনের ছুটি পাই।
আরেকটি ব্যাপার মনে করাতে হবে যে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সময় বিদেশি কোচদের ছুটি নেওয়াটা একটা সাধারণ রীতি। এটি আমার কাছে ব্যতিক্রম কিছু নয় বরং আমার মেয়াদের আগে অনেক বিদেশি কোচের জন্য এটি স্বীকৃত ব্যাপার।
আমার মনে হচ্ছে এসব অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত। নতুন সভাপতির মেয়াদের প্রথম দিনে, তিনি প্রধান কোচকে অপসারণের ইচ্ছা প্রকাশ করে একটি প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়েছিলেন। আরেকজন প্রধান কোচ নিয়োগের মাত্র চার ঘণ্টা আগে শোকজ নোটিশ পেয়ে আমি হতভম্ব। সেখানে বলা হয়েছে যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য হাতে আছে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। ঘটনার ক্রমধারা এই কর্মকাণ্ডের পেছনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।
উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আমার নিরাপত্তা শঙ্কায় আমাকে বাংলাদেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। এসব অভিযোগ, দ্রুত নতুন প্রধান কোচের নিয়োগ এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাব নতুন ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্য এবং বিসিবির ভেতরের কর্মীদের আচরণের ব্যাপারে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করছে।
আমি আমার সম্মান রক্ষা করতে সংকল্পবদ্ধ এবং এই বিষয়ে যে কোনও তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবো। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবে, এবং আমি আমার ভালোবাসার খেলাতে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখতে পারবো।
- ঢাকায় ভারতের কে এই RAW স্টেশন হেড, যা জানা গেল, কাঁপছে রাজনৈতিক অঙ্গন"
- লাফিয়ে বাড়লো সোনার দাম, আজ থেকে রেকর্ড দামে স্বর্ণ বিক্রি
- টিউলিপ বড্ড পল্টিবাজ : বাংলাদেশকে লুটে খেয়ে এখন না চেনার ভান
- মালয়েশিয়ায় ৫ শতাধিক বিদেশি গ্রেপ্তার, বেশির ভাগই বাংলাদেশি
- আইপিএল 2025 : পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে শাস্তি পেলো গুজরাটের ক্রিকেটার
- নাসুমকে চড় মারার চাঞ্চল্যকর অভিযোগের জবাবে মুখ খুললেন হাথুরু-সাথীরা
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর