সাজিদ খানের অবিশ্বাস্য বোলিং উড়ে গেল ইংল্যান্ড

তৃতীয় দিনের সকালে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে সাজিদ ইংল্যান্ডের ইনিংসকে শেষ করে দেন, যা পাকিস্তানকে ৭৫ রানের লিড এনে দেয়। দ্বিতীয় দিনের সন্ধ্যায় সাজিদ চারটি উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংকে বিপর্যস্ত করে দেন। তিনি শেষ চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিনটি উইকেট নেন, আর নোমান আলী ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান জেমি স্মিথকে আউট করেন।
সাজিদ ইংল্যান্ডের নিচের অর্ডারে চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেন। ব্রাইডন কারস প্রথমে সুইপ ও ড্রাইভ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু কিছুই কাজ হয় না। শেষে তিনি সাজিদের একটি বল হিট করার চেষ্টা করে ক্যাচ হয়ে যান।
এরপর, সাজিদের পরের ওভারে ম্যাথিউ পটসও আউট হন, যখন তিনি হাঁটু থেকে ঢুকে যাওয়ার সময় বোল্ড হয়ে পড়েন।
জ্যাক লিচ ও স্মিথের পার্টনারশিপ শুরু হলেও, এটি মাত্র আট বল স্থায়ী হয়। স্মিথ লং-অফে ক্যাচ হন, যখন তিনি নোমানকে আউট করার চেষ্টা করেন।
ইংল্যান্ড তখন ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে, এবং তাদের লিড এখনও তিন অঙ্কে ছিল। তবে লিচ ও শোয়েব বাশির শেষ উইকেট জুটিটি কার্যকরী ছিল। লিচ নোমানকে স্লগ-সুইপ করে রান সংগ্রহ করেন, এবং বাশির সাজিদকে একটি সীমানা মারেন। তবে পরে তিনি আউট হয়ে যান, যা সাজিদের জন্য মুলতানে সেরা ইনিংসের ফিগার হিসেবে রেকর্ড হয়।
ইনিংস বিরতিতে ইংল্যান্ডের স্কোর ২৯১ (ডাকেট ১১৪, সাজিদ ৭-১১১) এবং তারা পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৩৬৬ রান করে। ফলে ৭৫ রানের লিড পেয়েছে পাকিস্তান।