বিপিএলের সবচেয়ে হতভাগা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট আজ শেষ হয়েছে। মোট ১৮৮ জন স্থানীয় এবং ৪৪০ জন বিদেশি ক্রিকেটার এবারের আসরে খেলার জন্য নাম দিয়েছিলেন। ড্রাফটে দলগুলো তাদের পছন্দমতো ক্রিকেটারদের নিয়ে স্কোয়াড গঠন করেছে।
তবে ড্রাফট শেষে কিছু তারকা ক্রিকেটার অবিক্রিত থেকে গেছেন, যা অনেকের জন্যই হতাশার কারণ। বিশেষ করে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুমিনুল হক, রুবেল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম অপু, এবং শুভাগত হোমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দল না পাওয়া অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল।
মোসাদ্দেক হোসেন এবং মুমিনুল হকের বিপিএলে দল না পাওয়া সত্যিই অনেকের জন্য অবাক করার মতো বিষয়। মোসাদ্দেক সব ফরম্যাটে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন এবং ঘরোয়া ক্রিকেটেও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে আসছেন। তবে এবার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি, যা তার জন্য হতাশাজনক।
মুমিনুল হক, যিনি বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের সফল অধিনায়ক ছিলেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সিরিজে সেঞ্চুরি করে নিজের ফর্মের প্রমাণ দিয়েছেন, তাকেও বিপিএলে দল না পেতে হলো। সম্ভবত তাকে টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটার হিসেবে বিবেচনা করার কারণেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য তাকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করেনি।
এতে বোঝা যায় যে, ঘরোয়া লিগে টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের দিকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নজর ছিল বেশি, যা কিছু খেলোয়াড়ের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুবেল হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু এবং শুভাগত হোমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বিপিএলে দল না পাওয়াটা কিছুটা বিস্ময়কর। রুবেল হোসেন একসময় তিন সংস্করণেই জাতীয় দলে নিয়মিত খেলেছেন এবং বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন। যদিও এখন তিনি জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে যাওয়ার পরও তাকে দলে নেয়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
নাজমুল ইসলাম অপু একজন কার্যকরী বাঁহাতি স্পিনার, যিনি বিশেষ করে বাংলাদেশের কন্ডিশনে বেশ সফল হতে পারেন। স্পিন-বান্ধব উইকেটে তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারত, কিন্তু তবুও তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নজরে আসেননি।
শুভাগত হোম একজন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার, যিনি ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগেই অবদান রাখতে পারেন। গত আসরে খেলেও এবারের ড্রাফটে তাকে নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি, যা তার মতো ক্রিকেটারের জন্য হতাশাজনক।
এই পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, দলগুলো তরুণ প্রতিভা বা নির্দিষ্ট কিছু পজিশনকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে, যেখানে অভিজ্ঞতার চেয়ে বর্তমান ফর্ম ও বিশেষ দক্ষতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
ড্রাফটে দল না পেলেও অবিক্রিতীত খেলোয়াড়দের এখনই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ইচ্ছা করলে এখনও তাদের দলে নিতে পারবে।
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- স্বর্ণের ভরি আজ হঠাৎ কত হলো জানেন
- মালয়েশিয়ায় ৫ শতাধিক বিদেশি গ্রেপ্তার, বেশির ভাগই বাংলাদেশি
- নাটকীয়ভাবে অবিশ্বাস্য সুখবর পেলো বাংলাদেশ
- নাসুমকে চড় মারার চাঞ্চল্যকর অভিযোগের জবাবে মুখ খুললেন হাথুরু-সাথীরা
- বিদেশি ফল নয়, ঘরেই লুকিয়ে আছে সমাধান এই ৫ দেশি খাবারেই পাবেন পর্যাপ্ত ভিটামিন সি
- শীর্ষে দিল্লি,২ নাম্বারে ঢাকা