দেশী কোচদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তামিম, রাগে ক্ষোভে কড়া জবাব দিলেন সালাউদ্দিন

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন কোচ নিয়োগের আলোচনা শুরু হয়েছে। জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে একজন স্থানীয় কোচ নিয়োগের প্রস্তাবও উঠেছে, তবে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল এই ব্যাপারে তার মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, বর্তমানে বাংলাদেশি কোনো কোচের জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার মতো যোগ্যতা নেই। তামিমের মতে, জাতীয় দলের প্রধান কোচের জন্য আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা প্রয়োজন, যা এখনো কোনো স্থানীয় কোচের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।
তামিমের এই মতামত বাংলাদেশের কোচিং ব্যবস্থার উন্নতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জের দিকেও ইঙ্গিত করে, যেখানে স্থানীয় কোচদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
তামিমের এই মন্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং তার প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় দলের কোচ সালাউদ্দিন বলেছেন, তামিমের মতামত তার ব্যক্তিগত হলেও এটি পুরোপুরি ঠিক নয়। সালাউদ্দিন মনে করেন, স্থানীয় কোচদের মধ্যে অনেকেই যথেষ্ট দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, যা তাদের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করার জন্য উপযুক্ত করে তোলে। তিনি আরও বলেন, দেশের কোচদের প্রতি আরও আস্থা ও সুযোগ দেওয়া উচিত, যাতে তারা নিজেদের উন্নত করতে পারেন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালোভাবে দল পরিচালনা করতে সক্ষম হন।
সালাউদ্দিন বলেন, "তামিম সঠিক কথা বলেছেন। জাতীয় দলে নতুন খেলোয়াড়রা যখন আসে, তখন আমরা কি মনে করি, তারা প্রস্তুত? খেলোয়াড়দের উন্নতির জন্য সময় প্রয়োজন। যদি তাদের প্রস্তুত হতে ৫ বছর লাগে, তাহলে কোচদেরও সময় দেওয়া উচিত।"
বিশ্বের বিভিন্ন ক্রিকেট বোর্ড তাদের সাবেক খেলোয়াড়দের কোচ হিসেবে নিয়োগের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। এর অন্যতম উদাহরণ হলো প্রতিবেশী ভারত, যারা গত কয়েক বছর ধরে তাদের নিজস্ব সাবেক খেলোয়াড়দের প্রধান কোচের দায়িত্ব দিয়েছে। ভারতীয় বোর্ড রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সফলতা পেয়েছে।
শ্রীলঙ্কাও সম্প্রতি একই পথে হেঁটেছে। তারা ক্রিস সিলভারউডের পরিবর্তে সাবেক ক্রিকেটার এবং কিংবদন্তি সনাৎ জয়াসুরিয়াকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এই উদ্যোগগুলো দেখাচ্ছে যে অনেক দেশ তাদের অভ্যন্তরীণ কোচিং ট্যালেন্টকে কাজে লাগিয়ে সফল হওয়ার চেষ্টা করছে। এই নীতি তাদের ক্রিকেট কাঠামোতে সাবেক খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা এবং বোঝাপড়াকে কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি করছে, যা দলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ নিয়ে তামিমকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, "আমার মনে হয়, এখন প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ বাংলাদেশে নেই। তবে কিছু খেলোয়াড় সহকারী কোচ হতে পারেন, কিন্তু প্রধান কোচ হওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত নন।"
তামিম দেশি কোচদের প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে বলেন, "বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০:৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ একজন বিদেশি হতে পারেন এবং তার সঙ্গে আরও দুজন বিদেশি সহকারী কোচ থাকতে পারেন। বাকি ৭০ শতাংশ সহকারী কোচ অবশ্যই বাংলাদেশি হওয়া উচিত। এতে স্থানীয় কোচদের গড়ে তোলার সুযোগ হবে এবং একদিন তারা প্রধান কোচ হতে পারবেন।"
- কমলো সয়াবিন তেলের দাম, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- এক খবরেই পাল্টে গেলো পেঁয়াজের দাম
- ১০ মিনিটের শক্তিশালী বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড যে উপজেলা
- স্বর্ণের ভরি আজ হঠাৎ কত হলো জানেন
- নাটকীয়ভাবে অবিশ্বাস্য সুখবর পেলো বাংলাদেশ
- নাসুমকে চড় মারার চাঞ্চল্যকর অভিযোগের জবাবে মুখ খুললেন হাথুরু-সাথীরা
- বিদেশি ফল নয়, ঘরেই লুকিয়ে আছে সমাধান এই ৫ দেশি খাবারেই পাবেন পর্যাপ্ত ভিটামিন সি
- ইন্টারনেট সেবায় বিশাল মূল্যছাড়, কমলো ইন্টারনেটের দাম
- শীর্ষে দিল্লি,২ নাম্বারে ঢাকা
- সিলেটে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে: উত্তেজনা চলছেই