সকল ধরনের পণ্যের মূল্য কমিয়ে গড়লো নতুন রেকর্ড

শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকট এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ে আরও বিশদে জানলে বোঝা যাবে যে পরিস্থিতি কতটা জটিল ছিল এবং এখন কীভাবে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। ২০২২ সালে দেশটি এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়, যার মূলে ছিল বেশ কয়েকটি কারণ।
### সংকটের মূল কারণ:1. **ঋণের বোঝা**: শ্রীলঙ্কা বছরের পর বছর ধরে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করে আসছিল, বিশেষ করে চীনের কাছ থেকে। দেশটির ঋণ-জিডিপি অনুপাত আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পায়, যা পরিশোধ করতে অসমর্থ হয়। সেই সঙ্গে ঋণের শর্তগুলোও অনেক ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার জন্য ক্ষতিকারক ছিল। 2. **অপ্রত্যাশিত মুদ্রাস্ফীতি**: ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার মুদ্রাস্ফীতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছায়, যা প্রায় ৭০ শতাংশে চলে গিয়েছিল। এর ফলে খাদ্যদ্রব্য এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। এই সংকটের ফলে দেশটিতে খাদ্য ও জ্বালানির সংকটও চরমে পৌঁছে।
3. **সরকারি ভুলনীতি**: শ্রীলঙ্কার সরকারের বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত এই সংকটকে আরও ত্বরান্বিত করে। যেমন, জৈব কৃষির ওপর হঠাৎ করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, যা খাদ্য উৎপাদন এবং সরবরাহে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।
4. **আন্তর্জাতিক মুদ্রার মজুদ কমে যাওয়া**: পর্যটন এবং চা রফতানি শ্রীলঙ্কার অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এই দুই খাতই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রার মজুদ কমিয়ে দেয়। এর ফলে দেশটির আমদানির উপর নির্ভরতা বেড়ে যায় এবং জ্বালানি, খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে সমস্যায় পড়ে।
### বর্তমান অবস্থা:বর্তমান সময়ে, মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এ ধরনের পতন শ্রীলঙ্কার জন্য একদিকে স্বস্তির হলেও এর পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখা জরুরি। মূল্যস্ফীতি কমার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
1. **আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) সহায়তা**: শ্রীলঙ্কা আইএমএফ-এর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। এই সহায়তা দেশের ঋণ পরিশোধে সহায়ক হচ্ছে এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছে।
2. **মুদ্রানীতি কঠোরকরণ**: শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর মুদ্রানীতি প্রণয়ন করেছে। সুদের হার বাড়ানো এবং সরকারি ব্যয়ের নিয়ন্ত্রণ মূল্যস্ফীতি কমাতে ভূমিকা রেখেছে।
3. **অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাস**: অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে পণ্যের চাহিদা কমেছে এবং এর ফলে দামও কমেছে।
### ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হচ্ছে, তবে আরও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রয়োজন। এটি অন্তর্ভুক্ত করে:- **বৈদেশিক ঋণ পুনর্গঠন**: বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে বিশেষ কৌশল গ্রহণ করতে হবে।- **কৃষি ও শিল্পখাতের উন্নয়ন**: স্বয়ংসম্পূর্ণ খাদ্য উৎপাদন এবং শিল্প খাতের প্রসার ঘটানো হবে গুরুত্বপূর্ণ।- **পর্যটন পুনরুদ্ধার**: পর্যটন খাত পুনরুদ্ধার করতে হবে, যা বিদেশি মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস।
এই পরিস্থিতিতে, শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, সরকারের কার্যকর নীতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দেশের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা আনতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।
- নতুন ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- ৪ না মেরে ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে বাংলাদেশ
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চরম দু:সংবাদ : ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- হাসিনার বিরুদ্ধে ফেটে পড়ল ভারত! বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিক
- ফাঁদে পড়লেন ওবায়দুল কাদের, এবার পালাবেন কোথাই
- রাজস্থানে 'রক্তপাত' ভড়কে গিয়ে দ্রাবিড় যা বললেন...
- কঠিন সমীকরণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের আসল কারণ ফাঁস
- পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি, ভাঙলেন ওয়াহাব রিয়াজের রেকর্ড
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- I Love You নয়, বলুন এই কথাগুলো – প্রেমে পড়বে সেকেন্ডেই
- ভয়াবহ ভূমিকম্প : বিধ্বস্ত ৮০ ভাগ সরকারি ভবন
- পাকিস্তানকে মাঝারি রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ