ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট, যা বলছে হাইকোর্ট

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনে বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা ও নদী থেকে ইলিশ মাছ রপ্তানির ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এবং ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি বাতিলের দাবি জানানো হয়।
রিট আবেদনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক রয়েছেন। আসামী করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়, ইলিশ মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ। এটি মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার এই বঙ্গোপসাগরের সাথে যুক্ত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা বাংলাদেশের চেয়ে দীর্ঘ ও প্রশস্ত। ভারত ও মায়ানমারের এই সামুদ্রিক সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ উৎপাদিত হয়। তাছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়।
মূলত বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদী থেকে ইলিশ আমদানি করে। যদিও এই ইলিশ মাছ সামুদ্রিক মাছ, কিন্তু এই মাছ যখন পদ্মা নদীতে ডিম পাড়ার জন্য আসে তখন এই ইলিশ মাছ পদ্মা নদীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পুষ্ট হয় এবং খুব সুস্বাদু হয়। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ স্বাদে ও গন্ধে চমৎকার। এই পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ রান্না করলে তার সুবাস চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ধরা পড়া ইলিশ মাছের মাত্র ১০ (দশ শতাংশ) পদ্মা নদীতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ পদ্মা নদীতে খুব সীমিত পরিমাণ ইলিশ মাছ পাওয়া যায়।
পদ্মার নদীতে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায় তা বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে সম্পূর্ণ অপ্রতুল। ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদী থেকে ইলিশ আমদানি করে।
ফি ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার নেতাদের বক্তব্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তারা স্বীকার করে যে তারা বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ আমদানি করে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব মাছ ভারতে রপ্তানি হয় এবং বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ ভারতে পাচার হয়।
বাংলাদেশের ভারতীয় এজেন্ট ও রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদী থেকে মাছ সংগ্রহ ও মজুত করে এবং পরে সুযোগ অনুযায়ী ভারতে রপ্তানি ও পাচার করে। ফলে বাংলাদেশের মানুষ পদ্মার ইলিশ নিতে বাজারে যায় না এবং অল্প পরিমাণে পেলেও দাম অনেক বেশি, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে কিনে খাওয়া সম্ভব হয় না।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, ভারতে রপ্তানি ও পাচারের জন্য ব্যবসায়ীরা সারা বছরই প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ হিমায়িত করে রাখে। ফলে বাজারে সবসময় ইলিশের দাম বেশি থাকে এবং সাধারণ মানুষ এই ইলিশ মাছ কিনে খেতে পারে না।
এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইলিশ রপ্তানির ঘোষণার ফলে বাংলাদেশে ইলিশ মাছের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে ইলিশ মাছ কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশ রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ অবাধে রপ্তানিযোগ্য পণ্য নয়। এই মাছ রপ্তানি করতে চাইলে উপযুক্ত শর্ত পূরণ করতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ্য অনুমোদন ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একা এই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিতে পারে না।
এটি একটি বিচারবহির্ভূত কাজ। এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছেন এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন।
- ৮ রানে ৬ উইকেট বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন লজ্জার রেকর্ড
- একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে ও পাওনা টাকা দিতে বললো বাংলাদেশ
- ভারতে আ’লীগ নেতাকর্মীদের জালজালিয়াতিতে অতিষ্ঠ কলকাতার প্রশাসন
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (১৮ এপ্রিল)
- ক্রিকেট বিশ্বে শোকের ছায়া : খেলার মাঠেই হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করলেন
- প্রবাসী কর্মীদের জন্য সুখবর দিলো আরব আমিরাত
- বড় সুখবর, ১০ লাখ শ্রমিক নিতে চাই যে দেশ
- RAW প্রসঙ্গে হাসনাতের মন্তব্য ভাইরাল: এক ঘণ্টায় ১.১৬ লাখ রিয়াকশন
- স্বর্ণের দাম নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী, দেখেনিন দাম কমবে না বাড়বে
- ১ তারিখ থেকে ডিম ও মুরগির খামার বন্ধ ঘোষণা
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- বাংলাদেশকে নিয়ে সুর পাল্টালো ভারত
- জর্দা না সিগারেট, মানুষের শরীরের জন্য সবচেয়ে ক্ষতি করে কোনটি, বাঁচতে চাইলে জেনেনিন
- ঢাকায় ফের আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, রাজপথে দলীয় কর্মীরা
- দুপুরের মধ্যেই ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতির ঝড়ের শঙ্কা