| ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ক্ষত নিয়ে মাঠে আলু চাষিরা

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৭ নভেম্বর ২৩ ১১:১৫:১৩
ক্ষত নিয়ে মাঠে আলু চাষিরা

মাঠ থেকে উঠানোর পরে চাষিরা একরকম লড়াই করেই আলু রাখে হিমাগারে। আলু উঠার মৌসুম শেষ হয়ে গেলে এর দাম বাড়ে। আর সেই সময় আলু বাজারজাত করতে পারলে চাষিদের লাভের পরিমাণও বেশি হয়। তবে এবারের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। রাজশাহীর বাজারে প্রতিনিয়ত আলুর দাম নিম্নমুখী। হিমাগারে আলু মজুত রেখে বিপাকে পড়েছে প্রান্তিক চাষি ও ব্যবসায়ীরা। অনেক স্বপ্ন নিয়ে হিমাগারে রাখা আলুই এখন চাষিদের বুকের কাটায় পরিণত হয়েছে। এবারে হিমাগারে আলু রেখে নিজের তহবিলের পাশাপাশি ঋণের টাকায়ও জর্জরিত অনেকে। অনেকে হিমাগারে আলু রেখে ঋণ পরিশোধে ঘরের টাকা ভর্তুকি লাগায় তা অস্বীকার করছে।

মোহনপুর উপজেলার নুড়িয়াক্ষেত্র গ্রামের আলুচাষি ও ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আলী জানান, আলু নিয়ে প্রায় প্রতিবারই হাসি-কান্না লেগে থাকে। কিন্তু এবার কান্না ছাড়া চাষিরা হাসি দেখতে পায়নি। এ বছর তার প্রায় দশ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। তার মতো হাজার হাজার চাষির একই অবস্থা।

প্রান্তিক চাষি ও ব্যবসায়ীরা লাভের আশায় জেলার ২৬টি হিমাগারে আলু রাখেন। এই সব হিমাগারে আলু মজুতের ধারণক্ষমতা প্রায় ৩৪ লাখ বস্তা। বর্তমান বাজারে প্রতিবস্তায় চাষি ও ব্যবসায়ীদের কমবেশি ৭০০ টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এখনো প্রায় ১৩ লাখ বস্তা অবিক্রিত রয়ে গেছে হিমাগারে। সব মিলিয়ে সেই হিসেবে শুধু হিমাগারে রক্ষিত আলুতেই ১৪০ কোটি টাকা লোকসান গুনছে তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হিমাগারের মহাব্যবস্থাপক জানান, চাষিদের সাথে হিমাগার কর্তৃপক্ষের নভেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত চুক্তিনামা থাকে। কিন্তু এবারে আলুর দাম না থাকায় এবং হিমাগারে ঋণ পরিশোধে হয়তো ১০-১২ দিন বাড়িয়ে দিবে। এরপরেই হিমাগারে রক্ষিত আলু বের করে ফেলা হবে। লোকসান যাই হোক। তিনি আরও জানান, এখনো রাজশাহীর বিভিন্ন হিমাগারে প্রায় ১৩ লাখ বস্তা আলু রক্ষিত আছে।

রাজশাহী হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি আবু বাক্কার জানান, হিমাগারে আলু রাখার শর্তে এবার কৃষক-ব্যবসায়ীদের বিপুল অঙ্কের টাকা ঋণ দেয়া আছে। কিন্তু বাজার মন্দার কারণে কৃষক-ব্যবসায়ীরা আলু তুলতে হিমাগারে আসছেন না। এ অবস্থায় হিমাগার ভাড়ার পাশাপাশি ঋণ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাজার চাঙা হওয়ার সময় নেই। চাষিদের কাছে হিমাগার কর্তৃপক্ষের বিপুল পরিমাণ টাকা অনাদায়ে রয়ে গেল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালী জানান, কৃষি বিভাগ ফসলের উৎপাদন ও কৃষকদের বিভিন্ন লাভজনক ফসল চাষে উৎসাহিত করে থাকে। কোনো ফসলের দাম কম-বৃদ্ধির দেখভাল করে বাজার ব্যবস্থাপনা বিভাগ। বর্তমানে সত্যিই অন্যান্য সবজির তুলনায় আলুর দাম কম। আলুর দাম রিকভারি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

দল হারলেও বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পর যত রান করলেন সাকিব

দল হারলেও বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পর যত রান করলেন সাকিব

দীর্ঘ দুই মাস পর আবুধাবি টি-টেন লিগ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলা টাইগার্সের ...

শুরুতেই ২ উইকেট তুলে নিলো হাসান মাহমুদ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর

শুরুতেই ২ উইকেট তুলে নিলো হাসান মাহমুদ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর

অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরুতেই দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে আলো ছড়িয়েছেন ...

ফুটবল

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক ফুটবল সূচির প্রায় শেষ প্রান্তে এসে নিজেদের বছরের শেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ ...

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে আরও যত পয়েন্ট দরকার আর্জেন্টিনার

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে আরও যত পয়েন্ট দরকার আর্জেন্টিনার

লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে ২৫ ...



রে