| ঢাকা, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫, ২৩ ফাল্গুন ১৪৩১

যেভাবে ঝালকাঠি থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হলেন মিরাজুল

খেলাধুলা ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২৪ আগস্ট ৩০ ১৫:৪৪:১০
যেভাবে ঝালকাঠি থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হলেন মিরাজুল

মিরাজুল ইসলাম ব্যক্তিজীবনে যতটা বৈপরীত্য ততটাই মাঠে সক্রিয়। বয়স কুড়ির কম হলেও চিন্তা ও চেতনার পরিপক্কতা দারুণ। টুর্নামেন্টের সেফ অনূর্ধ্ব-২০ খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছেন তিনি। জাতীয় দলে ডাক পেয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও তার কণ্ঠ নরম, 'জাতীয় দলে ডাক পাওয়া স্বপ্ন ছিল এবং সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন নিজেকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। এতগুলো গোল করার বা করার মতো গোল আমার নেই। প্রথম লক্ষ্য খেলা, তারপর নিয়মিত হওয়া।

এর আগে জাতীয় দলেও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মিরাজুল। তবে ওই সময় ক্যাম্প তৈরি হয়নি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে ডাক পাওয়া সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। এখন নিজেকে আরও বেশি এগিয়ে নিতে হবে। গোল করতে চাই বা এত গোল করব এ রকম কোনো লক্ষ্য আপাতত নেই। প্রথম লক্ষ্য খেলা, তারপর নিয়মিত হওয়া।

জাতীয় দলে এর আগেও ডাক পেয়েছিলেন মিরাজুল। সেই বার অবশ্য ক্যাম্প করা হয়নি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘একবার জাতীয় দল ঘোষণা হলেও করোনার জন্য ক্যাম্প আর শেষ পর্যন্ত হয়নি। সেই সময় আমি দলে ছিলাম।’

ঝালকাঠিতে জন্ম নেওয়া মিরাজুল এখন বাংলাদেশের নতুন ফুটবল সম্ভাবনার নাম। বিকেএসপিতে ফুটবল খেলা শুরু করলেও তার পথচলা মূলত বাফুফের অভিজাত একাডেমি দিয়ে। তিনি বাফের অভিজাত একাডেমি থেকে প্রথম ফুটবলার হয়ে ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফাইনালে একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে একটি গোল। বক্সের বাইরে থেকে অস্বাভাবিক শক্তিশালী ফ্রি-কিক নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন মিরাজুল। সেই গোল সম্পর্কে তার বক্তব্য,‘আমি ফ্রি-কিক নিতে পছন্দ করি। প্র্যাকটিসও এমন শট নিয়েছি। ঐ দিনও সেভাবে নিয়েছিলাম, গোল হবে বিশ্বাস ছিল তবে এত সুন্দরভাবে সেটা ভাবিনি। গোলটি দেখতেও ভালো লাগছিল।’

ঝালকাঠির গ্রাম থেকে উঠে আসা ছেলেটি এখন বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। নিজের চেষ্টা ও বাবা-মায়ের দোয়াতেই এই অর্জন বলে মন্তব্য তার,‘আসলে আমি সব সময় চেষ্টা করি। চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। আমার বাবা-মা’র দোয়া সঙ্গী। যেদিন আমার খেলা মা রোজা রাখেন। আমিও নিয়মিত নামাজ পড়ি। আল্লাহ সহায় বলেই আমি এই পুরস্কার ও অর্জন।’

বাংলাদেশের অনেক ফুটবলারের আইডল মেসি-রোনলোদা-নেইমার। মিরাজুল এক্ষেত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম, ‘আমি কারো আইডল মানি না। আমার একমাত্র আইডল হযরত মুহাম্মদ স.।’ মিরাজুল অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ। তার এই সাফল্য পুরোটাই আল্লাহ’র অবদান বলে মনে করেন,‘আসলে আমরা সবাই চেষ্টা ও দোয়া করতে পারি। আল্লাহ চেয়েছেন বলেই আমি গোল করতে পেরেছি ও সেরা খেলোয়াড় হয়েছি।’

ক্রিকেট

আইসিসিকে একহাত নিলেন মিলার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি নিয়ে তোপ

আইসিসিকে একহাত নিলেন মিলার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি নিয়ে তোপ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। বিশেষ করে টুর্নামেন্টের সূচি নিয়ে নানা প্রশ্ন ...

আজ ঢাকার অবস্থা খুব খারাপ

আজ ঢাকার অবস্থা খুব খারাপ

বায়ুদূষণের দিক থেকে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ সংস্থা ...

ফুটবল

১৬ মাস পর ফিরলেন নেইমার

১৬ মাস পর ফিরলেন নেইমার

দীর্ঘ ১৬ মাস পর অবশেষে ব্রাজিলের ফুটবল মাঠে ফিরলেন নেইমার জুনিয়র। ২০২৩ সালের অক্টোবরে উরুগুয়ের ...

চরম উত্তেজনায় শেষ হলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবল ম্যাচ

চরম উত্তেজনায় শেষ হলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবল ম্যাচ

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে শিরোপা লড়াই মানেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরেও ...