সারাদেশে ব্যান্যার পাানি ঢুকে পড়ছে। এবার ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা বন্যায় তলিয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকা। আশেপাশের অন্তত কয়েকটি গ্রামে পানি বেড়েছে। পানির প্রবাহের কারণে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতুটি ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। এদিকে স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত থেকে লাখাউড়ায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়।

বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে বন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে পানি প্রবাহ শুরু হয়। এক সময় স্থলবন্দর ছাড়াও বটলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, পঞ্জিরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ১০টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। এ ছাড়া গাজী বাজার এলাকায় একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে পড়েছে। এর আগে মঙ্গলবার হাওড়া নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে খালাপাড়া এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজলা পারভীন রুহী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি মো. জালালউদ্দিন জানান, সকালে ভারত থেকে দ্রুত গতিতে পানি আসতে থাকে। যা এর আগে আমি কখনও দেখিনি। কয়েকটি গ্রামে পানি বেড়ে যাওয়ায় আখাউড়া-আগরতলা সড়কে নির্মিত অস্থায়ী সেতুটিও ভেঙে পড়েছে। ফলে বেড়েই যাচ্ছে মানুষের সমস্যা। তোমধ্যে পুরো বন্দর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে ইউএনও গাজালা পারভীন জানান, বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি ছাড়াও অনেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁধের একটি অংশ মেরামত করেছেন। সেতুটি সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানানো হয়েছে।

তবে এত তাড়াতাড়ি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা যাবে না জানান তিনি। গাজালা পারভীন জানান, উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া পানিবেষ্টিত পরিবারগুলোর জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করবে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, ১৯৫ হেক্টর সবজির জমি, ১২২ হেক্টর আমন বিছড়া, ৩ হাজার ৪৪০ হেক্টর আমন ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

পানি এত দ্রুত সরানো হলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম। তবে বেশিক্ষণ পানি থাকলে ক্ষতি বাড়তে পারে। এক সপ্তাহ পর ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।