আগামী নির্বাচনের সময় নিয়ে যা জানালেন ড. ইউনূস

নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চায়। আর সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার তারা তাই করতে প্রস্তুত। নির্বাচনের আগে তারা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও পুনর্গঠন করতে চায়।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ড. ইউনূসকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, তিনি খুব দ্রুত নির্বাচনের কথা বলেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেটটা হচ্ছে-নির্বাচনটা তখনই করবেন যখন রিফর্মগুলো ক্যারি আউট করা যায়। যেটা জুডিশিয়ারি থেকে সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিকিউরিটি রিফোর্স কিংবা মিডিয়াতে। সমস্ত কিছু রিফর্ম অ্যাড্রেস করার পর যত দ্রুত নির্বাচন করতে পারে, এটা হচ্ছে ওনাদের মূল কাজ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ড. ইউনূস সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য সব সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছেন। দেশের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এতে দেশের জনগণের ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাবে ব্যাংক ডাকাতি হয়েছে।
কূটনীতিকদের ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে আইনশৃঙ্খলার মাধ্যমে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনা। ছাত্র আন্দোলনে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। অনেক ছাত্রের চোখে গুলি লেগেছে, তাদের দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা জানি না তাদের কী হবে। পৃথিবীর কোনো দেশকে এত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়নি। বিশ্বের কোথাও নাগরিকরা এতটা মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না।
ছাত্রদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে জাতিসংঘ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান একে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা করা হয়েছে তার একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু তদন্ত চাই বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে জাতিসংঘকে পূর্ণ সহায়তা দেবে।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, ব্রিফিংয়ে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সংস্থার ৫০ জনেরও বেশি কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকরা জানতে চান কূটনীতিকরা কোনো প্রশ্ন করেছেন কি না। প্রশ্নোত্তরে প্রেস সচিব বলেন, প্রশ্নোত্তর হয়নি। তিনি সমর্থন চেয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের পুনর্গঠনে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
ড. ইউনূস বলেন, শিক্ষার্থীরা যে বাংলাদেশ চায় সেটা করার চেষ্টা করবেন। এমন একটা বাংলাদেশ যেখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে, বাক স্বাধীনতা থাকবে, মানবাধিকার থাকবে। একইসঙ্গে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশ যত আন্তর্জাতিক অ্যাগ্রিমেন্ট করেছে, তার যত লিগ্যাল অবলিগেশন আছে সেগুলো ফুলফিল করা হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ, গ্লোবাল এজেন্সিসহ পার্টনাদের রোহিঙ্গাদের অর্থায়নে সহায়তা অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
- ৮ রানে ৬ উইকেট বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন লজ্জার রেকর্ড
- একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে ও পাওনা টাকা দিতে বললো বাংলাদেশ
- ভারতে আ’লীগ নেতাকর্মীদের জালজালিয়াতিতে অতিষ্ঠ কলকাতার প্রশাসন
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (১৮ এপ্রিল)
- ক্রিকেট বিশ্বে শোকের ছায়া : খেলার মাঠেই হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করলেন
- প্রবাসী কর্মীদের জন্য সুখবর দিলো আরব আমিরাত
- বড় সুখবর, ১০ লাখ শ্রমিক নিতে চাই যে দেশ
- RAW প্রসঙ্গে হাসনাতের মন্তব্য ভাইরাল: এক ঘণ্টায় ১.১৬ লাখ রিয়াকশন
- স্বর্ণের দাম নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী, দেখেনিন দাম কমবে না বাড়বে
- ১ তারিখ থেকে ডিম ও মুরগির খামার বন্ধ ঘোষণা
- আজ বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- বাংলাদেশকে নিয়ে সুর পাল্টালো ভারত
- জর্দা না সিগারেট, মানুষের শরীরের জন্য সবচেয়ে ক্ষতি করে কোনটি, বাঁচতে চাইলে জেনেনিন
- ঢাকায় ফের আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, রাজপথে দলীয় কর্মীরা
- দুপুরের মধ্যেই ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতির ঝড়ের শঙ্কা