কোটা আন্দোলনের জন্য ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রেহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৩ তারিখ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটক করে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মইনুল হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকার নিউমার্কেট থানায় একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আটকের পর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হন। একজন ছাত্র এবং একজন হকার/ফেরিওয়ালা। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্ররোচনাদাতা হিসেবে তাদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর পরে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের (মিডিয়া) পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলা হয় যে, সাগর পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতিবাদে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর অনেক মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। এখন পর্যন্ত অনেক নেতা কর্মীরা পালিয়ে বেরাচ্ছেন। আইনজীবী আনিসুল হক ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (টাউন) থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তাকে আইনমন্ত্রী করা হয়। এরপর থেকে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

সালমান এফ. রহমান ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এবং বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আওয়ামী লীগ চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে, সালমান এফ রহমান ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে তার ব্যক্তিগত শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়।