বাংলাদেশের পাতাকা নিয়ে ৪১ হাজার উঁচু থেকে লাফ!
আমরা যখন ছোট ছিলাম, আমরা আকাশে উড়ন্ত প্লেন সম্পর্কে খুব কৌতূহলী ছিলাম। উড়ন্ত বিমান অনুসারে, আজকাল মানুষকেও উড়তে দেখা যায়। এই দৃশ্য প্রায়ই টেলিভিশন এবং সিনেমার পর্দায় দেখা যায়। এক বা একাধিক ব্যক্তি প্যারাসুট সংযুক্ত করে বিমান থেকে লাফ দেয়। তারপর প্যারাসুট বাতাসে ভাসতে খোলে। তারপর তারা পাখির মতো ভেসে যায় এবং আলতো করে মাটি স্পর্শ করে।
কৌতূহল আর কল্পনার মতো সুন্দর এই বিষয়টির নাম স্কাইডাইভিং। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। কল্পনা করুণ তো, বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে পাখির মতো এমন করে উড়তে উড়তে কেউ মাটি ছোঁয়ার দৃশ্যটা কতটা নান্দনিক লাগবে? এবার তেমনই এক দৃশ্য আমরা দেখতে যাচ্ছি বাংলাদেশি স্কাইডাইভার আশিক চৌধুরীর কল্যাণে।
আগামী মে মাসে ৪১ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ে যাওয়া বিমান থেকে লাফ দেবেন তিনি। যেখানে তার পিঠে থাকবে প্যারাস্যুট আর হাতে থাকবে আমাদের গর্বের লাল-সবুজ পতাকা। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়তে আশিকের এই প্রচেষ্টার নাম ‘দ্য লারজেস্ট ফ্ল্যাগ ফ্লোন স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার’। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলা হয় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
বাংলাদেশের এই স্কাইডাইভার রেকর্ড গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের একটি এয়ারফিল্ডে গিয়ে প্রচেষ্টা চালাবেন। এই চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আশিক বলেন, ‘সাধারণত বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ ৩৫ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে চলাচল করে। এর ওপরে উঠতে বিশেষায়িত বিমান দরকার হয়। সঙ্গে লাগে অনুকূল আবহাওয়া, যা এই এয়ারফিল্ডের আকাশে পাওয়া যায়।’ আশিক চৌধুরির গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে।
তবে বাবার চাকরির সুবাদে তার বেড়ে ওঠা যশোরে। স্কুল-কলেজের পাট চুকিয়েছেন সিলেট ক্যাডেট কলেজে। এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ)। ২০০৭ সালে স্নাতক হয়েই যোগ দেন দেশের বেসরকারি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। যেখানে ২০১১ সাল পর্যন্ত চাকরি করেছিলেন। আশিক চৌধুরীর প্রথমবার স্কাইডাইভিংয়ের স্বপ্নপূরণ হয় ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। সেদিন যুক্তরাজ্যের ব্র্যাকলি শহরের হিনটন স্কাইডাইভিং সেন্টারে হাজির তিনি। জাম্পস্যুট, হেলমেট, প্যারাস্যুট, গগলসসহ যাবতীয় সুরক্ষাসামগ্রী পরে উঠে পড়লেন প্লেনে। সঙ্গে দুজন প্রশিক্ষিত স্কাইডাইভার।
কয়েক হাজার ফুট ওপরে ওঠার পর একজন স্কাইডাইভার আশিককে সঙ্গে নিয়ে বিমান থেকে লাফ দেন। এরপর ২০১৪ সালে ভর্তি হন একটি প্রাইভেট পাইলট প্রশিক্ষণ স্কুলে। এক বছর ধরে চলে প্রশিক্ষণ। এরপর একদিন ককপিটে বসেন আশিক। লন্ডন থেকে উড়োজাহাজ নিয়ে ছুটে যান পাশের এক শহরে। এভাবে পাইলটও বনে যান তিনি। সঙ্গে স্কাইডাইভিংয়ের শখতো রয়েছেই। সেই থেকে তার স্কাইডাইভিংয়ের নেশা।
- হঠাৎ করে যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- বাংলাদেশে জন্ম নিলো নতুন রাজনৈতিক দল, ঘোষণা করা হলো দলের নাম
- চরম দু:সংবাদ : সৌদি হাসপাতালে ড্রোন হামলায় নিহত ৩০ ও বহু মানুষ আহত
- ব্রেকিং নিউজ: শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করেছে ইন্টারপোল জানা গেল খবরের সত্যতা
- শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমানটিকে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বা হিনী, নিরাপত্তা জোরদার
- এইমাত্র পাওয়া : হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেয়া হল ১১৪ জনকে
- ব্রেকিং নিউজ: কারাগারে বিচারপতি মানিকের মৃত্যু, জানা গেল খবরের সত্যতা
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যে সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- এবার প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের
- সরকারি কর্মচারীদের ভাতা সিদ্ধান্ত নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম
- বিপিএল মাতাতে আসছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও সুনীল নারিন,খেলবেন যে দলের হয়ে
- সরকারি কর্মচারীদের ভাতা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- হঠাৎ করেই ড. ইউনূসকে চিঠি পাঠালেন নরেন্দ্র মোদি, যা লেখা ছিলো চিঠিতে
- গোল,গোল,গোল ৬-০ গোলে শেষ হলো ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার ফুটবল ম্যাচ
- জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের সম্পদ জব্দের নির্দেশ: ফ্ল্যাট, জমি ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত