| ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম

এগিয়ে কে ঢালিউড নাকি টালিউড!

বিনোদন ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৭ নভেম্বর ১৩ ১৭:১৭:২৯
এগিয়ে কে ঢালিউড নাকি টালিউড!

একটু পুরনো ইতিহাস ঘাটা যায়, নায়ক রাজ রাজ্জাক ছিলেন সেখানকার টপকাষ্ট। ফেরদৌস কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক। বাংলাদেশের বহু ব্যাবসাসফল সিনেমা সেখানে রিমেক হয়েছে। কলকাতার ঋতুপর্ণারা সেখানকার চেয়ে অনেক বেশি বাজেটে বাংলাদেশে কাজ করতো। কিন্তু সময় বদলে এখানকার শাকিব খান, জয়া, রুহী, নিপুন, মিম থেকে শুরু করে একাধিক শিল্পীরা দেশের বাইরে বিশেষ করে কলকাতায় অভিনয় করতে উন্মুখ হয়ে থাকেন।

প্রসঙ্গ, কেন কলকাতার প্রতি আগ্রহী? ঢালিউডি একটা সময় তলিয়ে যেতে শুরু করেছিল। আর টালিউড নিজেদের আমূল বদলে ফেলেছে। বাংলাদেশি দর্শকদের মূলত ভ্রমটা হয়েছে তখন। বাংলাদেশ তথা ঢালিউড যেখান থেকে পথ হারিয়েছে, বাংলা সিনেমার সেই দর্শকশ্রেণি ঝুঁকেছে টালিউডের ঝকঝকে ছবি আর গানের বাজারে উঁকি দিয়েছে। বাংলাদেশে মিছিল করে হল বন্ধ হওয়া শুরু হলো, বিপরীতে কলকাতা বাংলার সিডির রমরমা ব্যাবসা শুরু হলো।

টালিউডে উত্তোরন, ব্যার্থতায় নিমজ্জিত ঢালিউড-

একটা লম্বা সময় ধরে টালিউডের বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমা একই ধাঁচে চলেছে। বাঁক বদল করল সুরিন্দর ফিল্মস ও শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস নামে দুই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকেরাই মারওয়ারি। যাদেরকে বলা হয় ব্যাবসায়িক এটম। যেখানে গিয়ে তারা ফাটবে সেখানটায় তাদের রাজত্ব। সোনা ফলাতে পারে তারা। সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রিতে এসে তারা বাজেট ডাবল করে ফেলল। সিনেপ্লেক্সের সংখ্যা বাড়াল নিজেদের খরচে। একঝাঁক নতুনদের আগমান ঘটাল। তাদের ঘরেরই ফসল আজকের টালিউড রাজ করা জিৎ, দেব, শ্রাবন্তী, শুভশ্রী, পায়েল, অঙ্কুশ, সোহম, নুসরাত, রাজ চক্রবর্তীরা। একমাত্র উদ্দেশ্য বাণিজ্য। সে মতে তারা দক্ষিণী ছবি টানা রিমেক করা শুরু করে। দক্ষিণী ছবি ফুলটাইম এন্টারটেইনার। গানগুলোও করা হয় সে ধাঁচের। জিতের ক্যারিয়ারের হাতে গোনা কয়েকটি সিনেমা ছাড়া সিংহভাগ দক্ষিণী ছবির রিমেক। এমনকি জিৎকেও কলকাতার বাহির থেকে আমদানি করা হয়েছে। কলকাতার সঙ্গীতে সে সময় জিৎ গাঙ্গুলী নতুন ধারা তৈরি করে। সেই সঙ্গীতের প্রতিফলন ‘পরান যায় জ্বলিয়া রে’ টাইপ গান। সেগুলো বাংলাদেশেও ছিল ব্যাপক হিট।

বিপরীতে বাংলাদেশে শুরু হলো অশ্লিলতা আর নিম্নমানের নির্মাণ শৈলীতে বাজার সয়লাব। এফডিসির মধ্যেই শুটিংয়ের সীমাবদ্ধতা। হাতে গোনা কয়েকজন অভিনয় শিল্পীদের দ্বারা বস্তাপচা গল্পের রূপায়ন, অবশ্যই সব সিনেমা নয়।

ধুম করে টালিউডের বাজার পতনঃ

রিলায়েন্সসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে ঠিকই। কিন্তু ওরা এসেই কনফার্ম হিট চাইছে। আর সেই র্ফমুলা হলো তামিল ছবির কপিরাইট নিয়ে বাংলায় অনুবাদ করে ফেলো। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ট্রেন্ডটা খুব বেশিদিন চলতে পারল না। দক্ষিণী হিট ছবি রিমেকের আগেই দর্শক দেখে নিচ্ছে। একই ছবি দেখতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ল। তাছাড়া তাদের গানের শুটিং করা হতো মিশর বা ইতালি। নায়ক-নায়িকার গল্প গড়িয়াহাটে হলেও দক্ষিণ আফ্রিকা অব্দি গানের শুটিং হতো। এই উদ্ভট ক্যারিশমা না করলে ছবি চলে না। এর ভেতরে খুব বেশিদিন টিকে থাকা সম্ভব হলো না।

বাজারের পতন শুরু হলো। কিছুদিন আগে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার এক রিপোর্টে দেখা গেছে, শতকরা ৭০ ভাগ সিনেমা ব্যাবসায়িকভাবে লোকসানের তালিকায়। এক সময়কার বাণিজ্যিক ধারার প্রযোজকরা বিকল্প ধারার মৌলিক গল্পে ইনভেষ্ট করা শুরু করল। চেষ্টাটা চালাচ্ছে অভিনেতারাও। জিৎ কিংবা দেবরা বড় বাজেটের সিনেমা নির্মাণ করে উত্তোরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। মৌলিক গল্পের প্রসিদ্ধ পরিচালক অপর্ণা সেন, সৃজিত, নন্দিতা- শিবপ্রসাদ, কৌশিক গাঙ্গুলিদের কদর বেড়ে গেল। কিন্তু বাজারটা সেই বাজার আর রইল না। একযোগে হাটল বাংলাদেশের পথে, একাধিক শিল্পী পরিচালক কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত বাংলাদেশে। দুই বাংলার বাজার এক করার পায়তারা।

বাংলাদেশের এ সময়কার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানকে নিয়ে টানাহেচড়া শুরু করেছে। আরেফিন শুভ ব্যাবসায়িক সফলতা পেয়েছে। তাকে নিয়েও কলকাতার পরিচালকরা ভাবছেন।

তাতে যা হবে, এক অভিনেতার মুখে খাঁটি কথাঃ

ঢালিউডের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এক নায়কের সঙ্গে আলাপ হলো। সে আবার কলকাতায় প্রায়ই যায়। প্রশ্ন ছিল সেখানটায় জনপ্রিয়তা কেমন? এইতো সেদিন বউ নিয়ে কলকাতার নিউমার্কেট থেকে কেনাকাটা করে আসলাম। কারও কোন ভ্রক্ষেপ নেই আমি কে! অথচ কলকাতার কোন তৃতীয় শ্রেণির নায়কও যদি বাংলাদেশের নিউমার্কেটে দাড়াতো। কি অবস্থাটা হতো বুঝেন? পুলিশ আসতে হতো ভিড় ঠেলতে। তাদের জনপ্রিয়তাটা কোন লেভেলে এখানে? পার্থক্যটা হলো আমরা যেখানে কলকাতার টেলিভিশন আর্টিষ্টদেরও ফুল বায়োগ্রাফি মুখস্থ করে রাখি। সেখানে ওরা কাউকে চিনে না বললেই চলে। এসে মুখস্থ করা কিছু কথা বলে যায়।

ঢালিউডের উন্নতিঃ

সংক্ষেপে বললে গত কয়েক বছরে ঢালিউডের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। একশ্রেণির বাণিজ্যিক ঘরানায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা চালিয়েছে, অন্য শ্রেণি দেশে বিদেশে পুরস্কৃত কিংবা প্রশংসিত হচ্ছে। একঁঝাক নতুন পরিচালক সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী হচ্ছে। দর্শক হলমুখী হয়েছে। ‘আয়নাবাজি’ কিংবা ‘ঢাকা অ্যাটাক’ রেকর্ড পরিমাণ ব্যাবসা করেছে। সিনেমার আলোচনা সমলোচনা চলছে হরদম। বাংলা সিনেমা নিয়ে যে আশা আছে ভরসা আছে সেটা আবার আঁচ করা যাচ্ছে। ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান নিজেকে আমূল বদলে ফেলার চেষ্টা করছেন, এটাও কম ইতিবাচক নয়। কলকাতার ছবি আজ ব্যবসায়িক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ থাকলে কোনোদিনই তারা বাংলাদেশের জানালায় উঁকি দেবার চেষ্টা করতো না।

ক্রিকেট

IPL নিলাম : আকাশ ছোয়া মুল্যে আফগান ক্রিকেটারকে কিনলো মুম্বাই

IPL নিলাম : আকাশ ছোয়া মুল্যে আফগান ক্রিকেটারকে কিনলো মুম্বাই

চলছে আইপিএলের বড় নিলাম। রবিবার প্রথম দিনের নিলাম হয়েছে। সোমবার হবে দ্বিতীয় দিনের নিলাম। প্রথম ...

ipl নিলামের মধ্যেই ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে ইনিংস ঘোষণা করলো মেহেদী হাসান মিরাজ

ipl নিলামের মধ্যেই ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে ইনিংস ঘোষণা করলো মেহেদী হাসান মিরাজ

চতুর্থ দিনের শুরুতেই ক্রিকেটবিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান ...

ফুটবল

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক ফুটবল সূচির প্রায় শেষ প্রান্তে এসে নিজেদের বছরের শেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ ...

এইমাত্র পাওয়া : ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

এইমাত্র পাওয়া : ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

কয়েক দিন আগেই পেরুর লিমাতে পর্দা উঠেছিল দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের অনূর্ধ্ব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্ট। যেখানে দ্বিতীয় ...



রে