ম্যানসিটির গোল উৎসব
বাঁচা মরার ম্যাচে লাইপজিগের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানসিটি। এর আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে লাইপজিগের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। প্রয়োজনে দ্বিতীয় লেগে ৯ জন স্ট্রাইকার খেলানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। তবে যে দলে আর্লিং হল্যান্ড আছেন, তাদের কি আর ৯ জন লাগে নাকি!
গোল উৎসবে হল্যান্ড ইতিহাদের সমর্থকদের উপহার দেন স্মরণীয় এক রাত। একে একে একাই করলেন ৫ গোল। বিরতির আগেই আদায় করে নেন মৌসুমের পঞ্চম হ্যাটট্রিক। ৬৩ মিনিটে কোচ পেপ গার্দিওলা তাকে তুলে না নিলে, বাকি সময়টায় হয়তো গুঁড়িয়ে দিতেন আরও কিছু রেকর্ড।
শুরুতে ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করলেও মাঝে ছন্দ হারিয়ে নিজেকে খুঁজছিলেন হল্যান্ড। এরপর শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে আবার তার নামের পাশে দিয়েছিলেন ‘সাময়িক-চমক’র তকমা। সব কিছুর জবাব দিতে মঙ্গলবারের রাতকে বেছে নিলেন হল্যান্ড। ফুটবলের সবুজ গালিচায় লিখলেন অক্ষয় ইতিহাস। লাইপজিগের জালে ম্যানসিটির ৭ গোলের ৫টি করেছেন তিনি। ম্যাচের অন্য গোল দুটি করেন গুন্দোয়ন ও কেভিন ডি ব্রুইনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল সিটিজেনরা।
এদিকে এফসি পোর্তোর সঙ্গে গোল শূন্য ড্র করে শেষ আটে উঠেছে ইন্টার মিলান। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি।
নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ১-১ গোলে ম্যানসিটিকে রুখে দিলেও ম্যাচের শুরুটা ছিল একপেশে। একের পর এক আক্রমণে লাইপজিগের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখছিল সিটিজেনরা। এরপরও প্রথম গোলের জন্য ম্যানসিটিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২২ মিনিট পর্যন্ত।
নিজেদের ডি-বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করে স্বাগতিকদের পেনাল্টি উপহার দেন হেনরিখস। স্পট কিকে হল্যান্ডের শট রুখতে পারেননি লাইপজিগ গোলকিপার। এর ৭৭ সেকেন্ড পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হল্যান্ড। প্রথমে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডি ব্রুইনার বুলেট গতির শট পোস্টে লেগে ফিরলে ফিরতি বলে হেডে গোল করেন হল্যান্ড।
বিরতিতে যাওয়ার আগে হ্যাটট্রিক ঠিকই পূরণ করেন হল্যান্ড। ডি ব্রুইনার কর্নারে রুবেন দিয়াজের হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন লাইপজিগ খেলোয়াড়। এরপর দৌঁড়ে এসে বলকে জালে পাঠান হল্যান্ড।
বিরতির পর জ্যাক গ্রিলিশের সহায়তায় দলের চতুর্থ গোলটি করেন গুন্দোয়ান। এরপর ৫৩ মিনিটে দলের পঞ্চম ও নিজের চতুর্থ গোলটি আদায় করে নেন হল্যান্ড। এটি ছিল মৌসুমে হল্যান্ডের ৩৮তম গোল। প্রায় একশ বছর আগে ১৯২৮-২৯ মৌসুমে সিটির হয়ে এক মৌসুমে ৩৮ গোল করেছিলেন টমি জনসন।
ম্যানসিটির হয়ে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নিতে হল্যান্ডের সময় লাগে মাত্র ৪ মিনিট। ইতিহাদে উপস্থিত সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে নিজের পঞ্চম গোলটি করেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে এক ম্যাচে ৫ গোল করা তৃতীয় ফুটবলার হলেন হল্যান্ড। এর আগে ২০১২ সালে বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি এবং ২০১৪ সালে বরিসভের বিপক্ষে শাখতার দোনেৎস্কের হয়ে এই কীর্তি গড়েছিলেন লুইজ আদ্রিয়ানো। শেষ মুহূর্তে প্রাপ্য গোলটি আদায় করে নেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ডি ব্রুইনা।
- সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ডিপজলকে গ্রেপ্তার করলো র্যাব
- সকল সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য জরুরি বার্তা
- বিয়ের দুদিন পরেই সারজিসের জীবনে নেমে এলো শোকের ছায়া
- চলে যাওয়ার আগে রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটারের ফেসবুক পোস্ট
- বিপিএলে চমক: বিমানে বাংলাদেশে আসছেন জিমি নিশাম
- আজ রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ হারার আসল কারণ
- দুই দলের দফায় দফায় সংঘর্ষ
- ফিরছেন সাকিব আল হাসান
- সৌদি, কাতার, ও ওমানে প্রবাসীদের জন্য বড় সুখবর
- আকাশেই বিপাকে রাসেল-ডেভিডদের বহনকারী বিমান,পারছে না অবতরন করতে
- বেড়েছে পুলিশের উপস্থিতি, বিজিবি মোতায়েন
- ভারতীয় ভিসা চালু নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসের বিশেষ বার্তা
- বাংলাদেশী টাকায় আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট
- ফেসবুকে রহস্যময় স্ট্যাটাস দিলেন তাওহীদ হৃদয়