অবিশ্বাস্য ঘটনাঃ মার্তিনেসের সেরার পুরস্কার নিতে ওঠার সময় এ কী করলেন এমবাপে
কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে ফিফা আয়োজিত ফুটবল বিশ্বের অন্যতম বড় আয়োজন বিশ্ব সেরা পুরস্কার বিতরণী। এই বিশ্ব সেরা পুরস্কার বিতরণীতে বিশ্বের সেরা ফুটবলার হয়চেহ আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং বিশ্বের সেরা গোলকিপার হয়েছে এমিলিন মার্টিনেজ। এছাড়া বিশ্বসেরা কোষের পুরস্কার পান লিয়নেল স্ক্যালোনি।
তবে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আবারও নিরব সংঘর্ষ বাধে এমিলিন মার্টিনেজ এবং ফরাসি ফুটবলার এমবাপ্পের মধ্যে। এই দিনে মঞ্চে উঠছেন ফিফার বেছে নেওয়া সেরা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। দর্শক আসনে তখন বসে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে।
গত বছর ডিসেম্বরের ১৮ তারিখে কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে যে দুই ফুটবলার বার বার চর্চায় উঠে এসেছেন সেই আর্জেন্টাইন গোলকিপার মার্তিনেস এবং ফরাসি ফুটবলার এমবাপে মুখোমুখি। দেখা হল তাঁদের। পুরস্কারের মঞ্চে ওঠা মার্তিনেসকে দেখলেন এমবাপে। কী মনে হচ্ছিল তখন ফ্রান্সের তরুণ তারকার?
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পরই এমবাপেকে নানা রকম ভাবে অপমান করতে থাকেন মার্তিনেস। কখনও এমবাপেকে নিয়ে সাজঘরে গান, কখনও তাঁর পুতুল নিয়ে আর্জেন্টিনার রাস্তায় ঘোরা। সেই মার্তিনেস যখন ফিফার পুরস্কার নিচ্ছেন, বক্তব্য রাখছেন, তখন এমবাপের মুখ থমথমে। ভাবলেশহীন। মার্তিনেসের সঙ্গে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন মরক্কোর ইয়াসিন বুনো এবং বেলজিয়ামের থিবো কুর্তোয়া। তাঁদের হারিয়েই সেরা হন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক মার্তিনেস।
ফাইনালে মার্তিনেসের দাপটেই টাইব্রেকারে জেতে আর্জেন্টিনা। বিভিন্ন রকম কাণ্ড করে ফ্রান্সের ফুটবলারদের চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এমবাপে পেনাল্টি নিতে যাওয়ার সময় তিনি রেফারির কাছে বার বার অভিযোগ করছিলেন, বল ঠিক জায়গায় বসানো হয়েছে কি না তা দেখার। প্রথম বার রেফারি পাত্তা না দিলেও কোম্যানের পেনাল্টির আগেও মার্তিনেস একই অভিযোগ করায় রেফারি দেখতে গিয়েছিলেন ঠিক জায়গায় বল বসানো হয়েছে কি না। ঠিক তখনই কোম্যানের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন মার্তিনেস। তাঁর মুখের সামনে গিয়ে নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন। তাতে কিছুটা হলেও মনোযোগ নষ্ট হয়েছিল কোম্যানের। তাঁর নেওয়া শট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন মার্তিনেস।
চুয়ামেনি ফ্রান্সের হয়ে তৃতীয় পেনাল্টি নেওয়ার সময় অন্য কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন মার্তিনেস। তিনি বল নিয়ে গোলের পিছনে থাকা আর্জেন্টিনা সমর্থকদের কাছে গিয়ে তাঁদের চিৎকার করতে বলেছিলেন। তার পরে চুয়ামেনিকে বল না দিয়ে অন্য দিকে ছুড়ে দিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে চুয়ামেনিকে বল আনতে হয়েছিল। এই সব ঘটনায় তাঁরও মনোযোগ নষ্ট হয়েছিল। বাইরে মেরেছিলেন তিনি। চুয়ামেনি পেনাল্টি নষ্ট করার পর ‘অশ্লীল’ অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা গিয়েছিল মার্তিনেসকে। সঙ্গে অনেক কিছু বলছিলেন তিনি।
ফ্রান্সের হয়ে শেষ পেনাল্টি নিতে এসেছিলেন কোলো মুয়ানি। তাঁর কাছে গিয়েও অনেক কিছু বলেছিলেন মার্তিনেস। রেফারি বাধ্য হয়ে তাঁকে ঠেলে গোলপোস্টে নিয়ে যান। মার্তিনেসকে হলুদ কার্ডও দেখানো হয়েছিল। তাতে অবশ্য ভ্রুক্ষেপ করেননি তিনি। কোলো মুয়ানি গোল করলেও আর্জেন্টিনার হয়ে পেনাল্টি থেকে মন্টিয়েল গোল করায় বিশ্বকাপ জিতে যান মার্তিনেসরা।
- গ্রেফতার হলেন আরও ২৯ নেতাকর্মী
- সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- আজ ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নিয়ে দারুন সুখবর
- ১০টি আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ
- মহাখালীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, জলকামান প্রস্তুত
- সকল সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য জরুরি বার্তা
- শিক্ষকদের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগেই বাংলাদেশের স্কোয়াডে বড় পরিবর্তন
- টুঙ্গিপাড়া থানা ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী
- বেড়ে গেলো সৌদি রিয়াল রেট
- চলে যাওয়ার আগে রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটারের ফেসবুক পোস্ট
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর দিলেন জনপ্রশাসন সচিব
- আরও ৫টি আসনে ঘোষণা করা হলো জামায়াতের ৫ প্রার্থীর নাম
- প্লে অফে উঠে আরও ক্রিকেটার কিনলো খুলনা টাইগার্স