ওই আয়োজনে বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ ও ভারতের ২৮টি রাজ্য অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। অন্যদিকে রসগোল্লার জন্মভূমির ভৌগলিক তকমার দাবি করে আসা পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা যেন ওই অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি না করে সেজন্য দুই রাজ্যেকেই মৃদু সতর্ক করেছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়।

দেশটির খাবারের ‘মুখ’ হতে যাওয়া খিচুড়ির ইতিহাস নিয়ে রয়েছে অনেক মত। অনেকেই বলেন, সংস্কৃত শব্দ ‘খিচ্চা’ থেকে ‘খিচুড়ি’ শব্দের আবির্ভাব। ভূ-পর্যটক ইবন বতুতা, এমনকী আলেকজান্ডারের সময়েও গ্রিক ইতিহাসবিদেরা দেখেছিলেন, ভারতীয়রা চাল ও ডাল মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন। যা সম্ভবত বর্তমান খিচুড়ির আদি রূপ। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রক জানাচ্ছে, খিচুড়িকে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় করতে চায় তারা। ‘জনতার খাবার’ বার্গার-পাস্তা যদি বিশ্বজয় করতে পারে, তা হলে খিচুড়ি কেন নয়? এত দিন বিদেশিরা ভারতীয় খাবার মানেই ‘কারি’ বুঝতেন। এবার খাদ্য উৎসবে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যাতে সেখানেই হাতে-গরম ‘সুপারফুড’ চেখে দেখতে পারেন, তার জন্য অনুষ্ঠানের দিন ৮০০ কেজি খিচুড়ি বানাবে দেশটির কেন্দ্র।

শনিবার বিজ্ঞান ভবনে উৎসবের উদ্বোধন করবেন মোদী। এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘খিচুড়ি আমিষ না নিরামিষ, তা নিয়ে যেমন বিতর্ক নেই, তেমনই ভুলে যাবেন না প্রধানমন্ত্রীও খিচুড়ি খুব ভালবাসেন’।