তখন থেকে ২ টাকা নিয়েই রোগী দেখা শুরু করেন তিনি। পরে তা বাড়িয়ে কিছু দিনের জন্য ৫ টাকা করেছিলেন। কিন্তু, এতে অনেক চিকিত্সক আপত্তি তোলেন। তাঁরা বীররাঘবনকে অন্তত ১০০ টাকা ভিজিট নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সে সব পরামর্শ উপেক্ষা করে তিনি ভিজিট নেওয়াই বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে যে যাঁর সাধ্য মতো রোগেরা বীররাঘবনকে তাঁর ভিজিট হিসেবে খাবার-দাবার, ফল-মূল দিয়ে যেতেন। তবে, বেশির ভাগ রোগীই তাঁর কাছে আসেন খালি হাতে।

এখনও রোজ সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ ভাবেই রোগী দেখেন ৬৭ বছরের বীররাঘবন। তাঁর এরুকানচেরির চেম্বারের সামনে রোজ লম্বা লাইন পড়ে। ভাবছেন এ ভাবে তাঁর সংসার চলছে কী ভাবে? একটি করপোরেট হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট ফেলো হিসেবে নিযুক্ত বীররাঘবন। সেখান থেকে পাওয়া টাকাতেই তাঁর চলে যায়। তা ছাড়া তাঁর স্ত্রী সরস্বতী দেবী রেলের একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। তাই দু’জনের রোজগারে সংসার ভাল ভাবেই চলে যায়। বীররাঘবন আর সরস্বতীর দুই ছেলেমেয়ে, টি প্রীতি আর টি দীপক মরিশাস থেকে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন।

ব্যাসারপদী এলাকার দরিদ্র মানুষের জন্য একটি হাসপাতাল গড়তে চান বীররাঘবন।