শুধু মৃত ব্যক্তিদের নামই নয়। অভিযোগ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের ওই মাস্টাররোলে এমন অনেক জীবিত ব্যক্তির নাম রয়েছে যারা কোনও দিন মাটি ওই কাজ করেননি। অথচ তাঁদের নামে ওই কাজের খরচ দেখানো হয়েছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএম সদস্য শেখ জালালও মাটি কেটেছেন বলে ২২ হাজার টাকা বিল করা হয়েছে। যদিও ওই প্রাক্তন সদস্য কিছুই জানেন না বলে তাঁর দাবি।

মৃত ও জীবিত ব্যক্তিদের নামে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি করে এ ভাবেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় কংগ্রেস পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এমনই ভুরি ভুরি বেনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে সিপিএম ও তৃণমূল। যে মৃত ব্যক্তিদের নাম ভুয়ো মাস্টাররোলে রয়েছে তাঁদের পরিবার ঘটনার তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন। মৃত আলকাসের ছেলে আনেসুর রহমানের অভিযোগ, ‘‘বিষয়টি জানতে পেরেই প্রশাসনকে লিখিতভাবে সব জানিয়েছি।

প্রাক্তন সিপিএম সদস্য শেখ জলিল বলেন, ‘‘আমার জব কার্ড নম্বর ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে শেখ জালাল নাম দিয়ে।’’ অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মহকুমা প্রশাসন। চাঁচলের মহকুমাশাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিডিওকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যদিও সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও বেনিয়ম করিনি। তদন্ত করলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। বিরোধীরা আমাকে দায়ী করে অযথা বাজার গরম করতে চাইছে।সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েত থেকে গত বছরের ১০০ দিনের প্রকল্পের মাস্টাররোল প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। মৃত ব্যক্তি ছাড়াও একাধিক জীবিত ব্যক্তির নামে ৪৩১৬টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্কে বিল জমা করা হলেও কাজের টাকা তোলা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে