| ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

ভক্তের এক অদ্ভুত পাগলামিঃ শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত লম্বা কোরিয়ার পতাকা টানালেন এই ভক্ত

খেলাধুলা ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২২ নভেম্বর ১১ ১০:৩২:৪৭
ভক্তের এক অদ্ভুত পাগলামিঃ শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত লম্বা কোরিয়ার পতাকা টানালেন এই ভক্ত

দীর্ঘদিন কোরিয়া থাকার সুবাদে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবেই মিন্টু ও তার স্ত্রীর যৌথভাবে পাতাকাটি তৈরি করে। বিশাল এ পতাকা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন ক্রীড়ামোদীরা। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালনা গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে আবু কাউসার মিন্টু।

১৯৯৮ সালে তিনি জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ কোরিয়া যান। সেখানে থাকার সুবাদে জীবেনর প্রথম কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০০২ সালের বিশ্বকাপ খেলা দেখেন। সে সময় কোরিয়ার খেলায় মুগ্ধ হন তিনি। এরপর থেকে কোরিয়ার একনিষ্ঠ সমর্থকে পরিণত হন। ২০০৬ সালে দেশে ফিরে পার্শ্ববর্তী তেজখালী গ্রামের সাবিনা বেগমকে বিয়ে করেন। পরে স্বামীর মুখে কোরিয়ার গল্প শুনে তিনিও কোরিয়ার ভক্তে পরিণত হন।

ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে দুই সন্তানের জনক মিন্টু ২০১৮ সালেও ঢাকার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভারে ১ হাজার ফুট লম্বা কোরিয়ার পতাকা টানান। তবে আসন্ন বিশ্বকাপে নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুড় বাড়ি পর্যন্ত পতাকা টানান। পতাকাটি তৈরি করতে তার প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই পতাকার সুবাদে গ্রামটি এখন কোরিয়া গ্রাম নামে পরিচিতি পাচ্ছে।

মিন্টুর স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কে অনেক কথা জানিয়েছেন। তারপর থেকে আমিও দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবল দলকে সমর্থন করি। আমাকেও সে দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কোরিয়ার প্রতি ভালোবাসা থেকে মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা ও আম বাগান বিক্রির টাকা দিয়ে এই পতাকা বানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন কোরিয়াতে থাকায় আবু কাউসার মিন্টু দেশটিকে ভালোবাসে। কোরিয়ার খেলা হলেই তিনি বাড়িতে পতাকা টানান। তিনি কোন লাভের জন্য এই পতাকা তৈরি করেননি। তিনি চান কোরিয়ার মানুষ বাংলাদেশকে আরও জানুক-চিনুক। বাংলাদেশের সঙ্গে কোরিয়া সম্পর্ক আরও সুসংগঠিত হোক।

খেলাধুলার মাধ্যমে দু’দেশের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হবে এমন প্রত্যাশা করে মিন্টু বলেন, প্রথম যখন বিশ্বকাপ দেখেছিলাম, তখন দক্ষিণ কোরিয়া দলের আঞ্জুয়ান নামের এক খেলোয়ার দূর্দান্ত খেলেছিল। এরপর থেকেই মূলত আমি দলটির ভক্ত হয়ে যায়। প্রবাস থেকে ফিরলেও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আমার ভালোবাসা কমেনি। গত বিশ্বকাপেও আমি রাজধানীর বিমান বন্দর এলাকায় ওভার ব্রিজে একহাজার ফুট দৈর্ঘ্যের কোরিয়ার পতাকা টানায়। কিন্তু এতে আমার মন ভরেনি। তাই এবার নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুড় বাড়ি পর্যন্ত পতাকা টানিয়েছি। আমি চাই আমার এই পতাকার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ বাংলাদেশকে ভালোভাবে জানবে এবং

ক্রিকেট

শেষ পর্যন্ত হেটমায়ারের ঝড়ে খুলনার চ্যালেঞ্জিং স্কোর

শেষ পর্যন্ত হেটমায়ারের ঝড়ে খুলনার চ্যালেঞ্জিং স্কোর

একাদশ বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে উত্তেজনার কোনো ঘাটতি ছিল না। ফাইনালে উঠার এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ...

বাড়লো বিপিএলের প্রাইজমানি

বাড়লো বিপিএলের প্রাইজমানি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে পুরস্কারের পরিমাণ আরও বেড়েছে। গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২ কোটি ...



রে