গত সোমবার রাতে লন্ডনের পলেডিয়াম থিয়েটারে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের এই পর্তুগীজ তারকার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার।

এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য ফাঁস করেছে বার্সেলোনাভিত্তিক স্পানিশ দৈনিক দিয়ারিও গোল। দৈনিকটি জানিয়েছে, বর্ষসেরা ফুটবলার হতে না পারায় পাঁচজনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন বার্সার আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি।

তারা হলেন- বার্সেলোনা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমেউ, বার্সেলোনা সেক্রেটারি রবার্ট ফার্নান্দেজ, ক্লাবটির সাবেক কোচ লুইস এনরিকে, সতীর্থ আন্দ্রে গোমেজ এবং পাকো আলকাসের।

ভোটের লড়াইয়ে রোনালদোর চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন মেসি। যেখানে রোনালদো পেয়েছে ৪৩.১৬ শতাংশ ভোট, সেখানে মেসির পক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ১৯.২৫ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা নেইমার পেয়েছেন ৬.৯৭ শতাংশ ভোট।

এবার কোচ, অধিনায়ক এবং সাংবাদিক মিলে ভোট দিয়েছেন মোট ৪৫৯ জন। তাদের মধ্যে ৩৪০ জন প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেন রোনালদোরকে। মেসির পক্ষে পড়ে ৫৫ জনের ভোট। অন্যদিকে নেইমার ভোট পেয়েছেন ১৫টি।

সব মিলিয়ে রোনালদোর মোট পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৮৮৮। অন্যদিকে মেসির পয়েন্ট ছিল ৮২৩। রোনালদো ও মেসির মাঝে পয়েন্টের ব্যবধান ১০৬৫। কিন্তু জানা গেছে, মেসির মতে তার ভোটে পিছিয়ে পড়ার কারণ, বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমেউ এবং সেক্রেটারি রবার্ট ফার্নান্দেজ।

দৈনিকটি জানিয়েছে, নেইমারকে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) কাছে বিক্রি করার জন্য প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছেন ফার্নান্দেজ। যেটা মেনে নিতে পারেনি বার্সার কোনও সমর্থক!

শুধু তাই নয়, গেল মৌসুমে ভাল কোনো সাইনিং করাতে ব্যর্থ হন কাতালানদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করা ফার্নান্দেজ। অন্যদিকে বার্সার অনেক সমর্থকের কাছে ঘৃণার পাত্র সভাপতি বার্তোমেউ।

তাদের এসব বিতর্কের প্রভাব পড়েছে ফিফার বর্ষসেরা প্লেয়ার নির্বাচনের ভোটিংয়ে। এগুলোর বাজে প্রভাবের কারণে পিছিয়ে পড়েছেন মেসি। এছাড়া শেষ মৌসুমে লা লিগা কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসরে ভাল কিছু করতে পারেননি বার্সার সাবেক কোচ লুইস এনরিকে।

এটাকেও মেসির পেছনে পড়ার আরেকটি মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এদিকে গেল মৌসুমে ভ্যালেন্সিয়া থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেন আন্দ্রে গোমেজ। কিন্তু বার্সার জার্সিতে আলোই ছড়াতে পারেননি ৩০ বছর বয়সী এই পর্তুগীজ মিডফিল্ডার।

৪৭ ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটি গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ২৮ ম্যাচে আটটি গোল করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলকাসের। তবে কবে ও কোথায় মেসি এ ধরনের কথা বলেছেন সে সম্পর্কে কিছুই জানায়নি দৈনিকটি।