ভারতে সমস্যার কারন হয়ে দাড়ালো কোহলি-রোহিতরা, আতঙ্কে আছেন স্তিমাচ
![ভারতে সমস্যার কারন হয়ে দাড়ালো কোহলি-রোহিতরা, আতঙ্কে আছেন স্তিমাচ](https://www.sportshour24.com/thum/article_images/2022/06/19/sportshour24-8.jpg&w=315&h=195)
কয়েকদিন আগেই বিপুল পরিমাণ আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হয়েছে। অনেকের বিশ্বাস এই লিগ ভারতীয় ক্রীড়ার ভবিষ্যৎ শাসন করবে। খবরটা তার কানে পৌঁছে গেল। কিছুটা ভীত, কিছুটা উদ্বিগ্ন, জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্টিমাচ। পিচে, জাপান এবং কোরিয়া আর প্রধান শত্রু নয়, তিনি মনে করেন মাঠের বাইরে আইপিএল লড়াই করা কঠিন। স্টিমিচ আশঙ্কা করছেন, ক্রিকেটের উত্থান ফুটবলে প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতকে এশিয়ান কাপে এনে দিয়ে আবার মুখ খুললেন তিনি। এবার তার গলা আরও শক্ত হয়ে উঠল।
অতীতে আইপিএল বা ক্রিকেটের কারণে ভারতীয় ফুটবলের সূচি পরিবর্তনের ঘটনা দেখা গিয়েছে। গত বছরই আইপিএলের কারণে দেরিতে আইএসএলের মরসুম শুরু হয়েছিল। স্তিমাচ চাইছেন না সেটা হোক। বলেছেন, “সবাই ভাবছে তারা জাতীয় দলের জন্য বিরাট কাজ করছে। মরসুম যে আরও বড় হওয়া দরকার এবং ফুটবলারদের বেশি ম্যাচ খেলা দরকার, এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। অন্তত ১০-১১ মাস ধরে ওদের খেলা উচিত। ৬-৮ সপ্তাহের বিরতি যথেষ্ট। সে ভাবেই বছরের ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে। ফুটবলের ক্যালেন্ডারকে কোনও ভাবেই আইপিএল বা সম্প্রচারের উপরে নির্ভর করলে চলবে না। ফুটবলের উন্নতি করতে গেলে এটা এখনই বন্ধ হওয়া দরকার। উন্নত দেশের দিকে তাকান। ওরা অন্তত ১০ মাসে ৫০টা ম্যাচ খেলে। আমার মতে, আইএসএলে অন্তত ১৮টা দলের খেলা উচিত। উন্নতি এবং অবনমন থাকতে হবে। তৃণমূল স্তরে উন্নতির ক্ষেত্রে আমরা এখনও ৮-১০ বছর পিছিয়ে আছি। ভারতীয় কোচেদের শেখানোর জন্য ভাল বিদেশি কোচ দরকার।”
স্তিমাচের মতে, ভারতকে ফুটবলে এগিয়ে যেতে হলে শুধু আইএসএলের খেয়াল রাখলে চলবে না। দরকার জাতীয় দলের ভাল পারফরম্যান্স। ফুটবল কর্তা এবং আইএসএল মালিকরাও তাঁর রোষে পড়েছেন। স্তিমাচ বলেছেন, “এই দায়িত্ব নেওয়ার পর ভেবেছিলাম পরিস্থিতি অন্য রকম হবে। জাতীয় দলের সাহায্যে অনেকে এগিয়ে আসবে, এটাই ভেবেছিলাম। তবে কেউ কেউ নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়েই বেশি উৎসাহিত। খুব অবাক হয়েছি সেটা দেখে। অনেকে বুঝতেই চান না জাতীয় দলের উন্নতির জন্য সময় বেশি লাগা কতটা দরকারি। কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। তবে সরকারের থেকে আরও বেশি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছিলাম। অন্যান্য দেশে সেই দেশের বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে নেওয়া হয়। ভারতে সে কাজের অনুমতি দেওয়া হয় না। এখানে আসার পর ভেবেছিলাম ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিস আমার হাতের কাছে থাকবে। কিন্তু আমার হাত বাঁধা ছিল। ফলে শুধু নিজের কাজটা নিয়েই আমি বেশি ব্যস্ত ছিলাম।”
স্তিমাচ জানিয়েছেন, ভারতে এত দিন কোচিং করানোর সময়ে সবচেয়ে বেশি সাহায্য পেয়েছেন সুনীল ছেত্রীর থেকে। বলেছেন, “সুনীলকে আমি নিজের সহকারী মনে করি। আমার ডান হাত। সামনেই ও ৩৮ বছর পূর্ণ করবে। এখনও নিজেই নিজেকে চ্যালেঞ্জ করে। ২৬-এর উদান্তর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়নোর চেষ্টা করে। ২১-এর সুরেশকে টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তরুণ ফুটবলারদের লালন-পালন করতে ওর জুড়ি নেই।”
স্তিমাচ মনে করেন, ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে এখনই নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। বলেছেন, “নির্বাচন দ্রুত না হলে ম্যাচ আয়োজনে সমস্যা হতে পারে। সেটা হলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।”
- এইমাত্র পাল্টে গেলো বিপিএল ফাইনাল ম্যাচের সময়
- ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও দেশজুড়ে ভাঙচুর হওয়ার পর ফেসবুকে পোস্ট দিলেন আজহারী
- ভারতের সংসদে শেখ হাসিনাকে নিয়ে আলোচনা
- BPL 2025 : ফাইনাল ম্যাচের সময় সূচি ঘোষণা
- ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি
- ভিসা চালু : ২ লাখ শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা
- ধানমন্ডির ৩২ নম্বর নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করলেন : আসিফ মাহমুদ
- ১৪৪ ধারা জারি
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিলো ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীরা
- ফাইনালে মাঠে নামার আগে নতুন বিপদে চিটাগাং
- ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের কারন
- আবারও বাড়লো মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট
- দাম কমলো দুইটি জনপ্রিয় মোটরসাইকেলের
- বেড়ে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট,দেখেনিন আজকের রেট
- ধানমণ্ডি ৩২-এ গরু নিয়ে আসা হলো